রামুতে আবার চাষিদের মুখে হাসি
রামু প্রতিনিধি:
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স এর হস্তক্ষেপে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে হাজারো কৃষকের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সম্প্রতি কক্সবাজার সদর উপজেলার বাংলাবাজার বাঁকখালী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লি. পরিচালিত রাবার ড্যামের পানি বৃদ্ধি করার কারণে দক্ষিণ মিঠাছড়ির ১০টিরও বেশি গ্রামের শত শত বোরো ক্ষেত প্লাবিত হয়ে পড়ে।
বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাটির মাথা, চাইল্যাতলী, বারৈয়াপাড়া এলাকায় রাবার ড্যামের পানিতে প্লাবিত বোরো ক্ষেত এবং বাংলাবাজারে বাঁকখালী নদীতে নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন করেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স।
পরিদর্শনকালে রামু ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসব এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাবার ড্যাম পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কৃষকদের সাথে কথা বলেন। পরে সকলের মতামতের ভিত্তিতে রাবার ড্যামের পানি কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সিদ্ধান্তক্রমে পরিদর্শনের সাথে সাথে রাবার ড্যামের পানি কমানোর কাজ শুরু হয়।
এনিয়ে উৎফুল্ল কৃষকরা জানান, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স এবং সাংবাদিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে মঙ্গলবার পরিদর্শনের পর থেকেই পানি কমতে শুরু করে। মঙ্গলবার বিকালের মধ্যে প্লাবিত বোরো ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেছে। এজন্য কৃষকরা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজাহান আলি ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, রাবার ড্যাম নির্মিত হয়েছে কৃষকদের কল্যাণের জন্য। ড্যামের পানি থাকবে কৃষি কাজের জন্য সহনশীল পর্যায়ে। কিন্তু আকষ্মিকভাবে পানি বৃদ্ধি করায় অনেক স্থানে বোরো ক্ষেত ডুবে গিয়েছিলো। রাবার ড্যাম কমিটির সাথে সমন্বয় করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।