রামগড় ফেনী সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন , সওজ নিষ্ক্রীয়
রামগড় প্রতিনিধি:
রামগড় ফেনী সড়কের হেঁয়াকো এলাকায় রাস্তা ভেঙে বড় নালা সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিষ্ক্রীয় ভুমিকা পালন করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রামগড় ফেনী সড়কের হেঁয়াকো এলাকায় রাস্তার মাঝখানে এপার ওপার ভেঙে প্রায় ১২ ফুট প্রস্থ আকারে নালা সৃষ্টি হয়। রাস্তা ভেঙে নালা সৃস্টি হওয়ার পর পানি প্রবাহ শুরু হয়। জানা যায়, ওই স্থানে রাস্তার মাটির নীচে পানি চলাচলের জন্য স্থাপন করা ইট সিমেন্টের বড় চৌঙ ভারী যানবাহনের চাপে ভেঙে যায়। গত দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তার এক পাশের পানির তোড়ে ধ্বসে যাওয়া চৌঙসহ পুরো রাস্তা ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেনী থেকে খাগড়াছড়িগামী শান্তি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি চেয়ার কোচ চালকের অসর্তকতার কারণে ওই নালায় গিয়ে চাকা আটকে যায়। সারাদিন চেষ্টার পর দুটি রেকার এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এদিকে রাস্তা ভেঙে নালা সৃস্টি হওয়ার কারণে দুপুর থেকে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে ঢাকা, ফেনী, কুমিল্লাসহ সমতল জেলা থেকে রামগড় ও খাগড়াছড়িগামী এবং সমতল জেলা গামী অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে আছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও আটকা পড়া গাড়ীর চালক ও যাত্রীরা অভিযোগ করেন, দুপুরে রাস্তাটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কেউ আসেনি।
শান্তি পরিবহনের রামগড় অফিসের লাইনম্যান অর্জুন মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় ঘটনাস্থল থেকে মুঠো ফোনে জানান, ভেঙে যাওয়া রাস্তার দুই অংশে অসংখ্য পণ্যবাহি ট্রাক, পিকআপ, যাত্রীবাহি বাস ইত্যাদি যানবাহন আটকা পড়ে আছে। তিনি বলেন, এলাকার লোকজন রাস্তা ভেঙ্গে তৈরী হওয়া নালার উপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে পুল নির্মাণ করে মানুষ ও অটো রিক্সা, মোটর সাইকেল পারাপারের ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, সারাদিনেও সেখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি।