রামগড়ে সন্ত্রাসী হামলায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সম্পাদক জসিম গুরুতর আহত
বুধবার খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ
রামগড় প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ির রামগড়ে সন্ত্রাসী হামলায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী সোমবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের পাশে তাঁর ওপর প্রকাশ্যে এ হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে শুক্রবার জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিনের ওপর এবং সোমবার রামগড় উপজেলা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ২৫ জানুয়ারি খাগড়াছড়িতে সকাল সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের কর্মসূচি দিয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রামগড় উপজেলা পরিষদের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈঠক শেষে বের হয়ে রাস্তায় আসার পরই ৬-৭ জন সন্ত্রাসী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরির ওপর অর্তকিতভাবে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁকে বেদম মারপিট করে ব্রিজের নীচে ফেলে দেয়। এসময় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের সদস্যরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও চড়াও হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রামগড় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জসিম উদ্দিন পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার খাগড়াছড়িতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তারা সোমবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে এক সভা করেন। সভা শেষে সংসদ থেকে বের হয়ে রাস্তার আসার সাথে সাথে ৬-৭ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আর্তকিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা আহত অবস্থায় আমাকে ব্রিজের নীচে ফেলে দেয়।’
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাশেম আলী কমান্ডার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি খাজা নাজিম উদ্দিন পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘ঐ সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে জসিমকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদের উপরও সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়।’
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান পার্বত্যনিউজকে বলেন, খবর পেয়ে তিনি আহত জসিমকে হাসপাতালে দেখতে যান। জসিম হামলাকারীদের পাঁচজন চিনতে পেরেছেন বলে তাঁকে জানান। থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান কাজী রিপন ও খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. হারুণ মিয়াসহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ রামগড় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জসিম উদ্দিনকে দেখতে আসেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো. হারুণ মিয়া হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
তিনি পার্বত্যনিউজকে জানান, গত শুক্রবার একইভাবে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিনের ওপর হামলা করা হয়। জসিম উদ্দিন ও রইছ উদ্দিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে বুধবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ পালন করা হবে।