রামগড়ে ব্যবসায়ির বাড়ি পুড়ে ছাঁই, ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

অগ্নিকাণ্ড

রামগড় সংবাদদাতা:
রামগড় উপজেলার বলিপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডে সাহাব উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ির বাড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যবসায়ি। আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রামগড় ইউনিয়নের বলিপাড়া নামক এলাকায় শুক্রবার দুপুরে সাহাব উদ্দিনের সেমি পাকা বসতঘরে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখে এক প্রতিবেশী ঘরে আগুন লাগার কথা জানায় গৃহকর্তীকে।

এ সময় গৃহকর্তী ও তার এক কন্যা রান্নাঘরে ছিলেন। আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের লোকজন আগুন নেভাতে ছুটে আসেন। জুমাবার হওয়ায় গৃহকর্তা সাহাব উদ্দিনসহ গ্রামের পুরুষরা মসজিদে ছিলেন।

খবর পেয়ে রামগড় ফায়ার স্টেশন থেকে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও যান্ত্রিকত্রæটির দরুণ আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হয়। এসময় লোকজন দমকলবাহিনীর উপর ক্ষুব্দ হয়ে উঠে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার রিপন জানান, আগুনে ঘরের সমস্ত মালামালই পুড়ে গেছে।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক ও সোনাইপুল বাজারের ব্যবসায়ি সাহাব উদ্দিন বলেন, সেমি পাকা ঘরের পাঁচটি কক্ষের আসবাবপত্রসহ সমস্ত মালমাল পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। স্ত্রী ও কন্যার পড়নের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা যায়নি।

ঘরের আলমরিায় রক্ষিত নগদ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, প্রায় ১১ভরি স্বর্ণালংকার, জমিজমার দলিলপত্র সব পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, পাকা ঘরের সাথে লাগোয়া সিএনজি অটোরিকসা রাখার টিনের ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে তার ধারণা। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে তা তিনি জানেন না।

এদিকে, অগ্নিকান্ডের ঘটনা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের উপর গ্রামবাসীদের বিক্ষুব্দ হওয়ার খবর পেয়ে রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্ণেল এম জাহিদুর রশীদ, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মো: ফরহাদ, সহকারি কমিশনার(ভূমি) তামান্না নাসরিন পান্না, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ হাবিবুল্লা বাহার বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে তিনি নিশ্চিত বলে জানান। যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্নিত হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, পানি তোলার পাম্প মেশিনের পাইপ লাইনে জলাশয়ের কাদা ঢুকে অচল হয়ে গেলে আরেকটি মেশিন এনে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এসময় এলাকার কিছু উছশৃক্সখল যুবক দমকলকর্মীদের উপর চড়াও হয়। তারা অগ্নিনির্বাপক গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। পরে বিজিবি, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন