রামগড়ে পুলিশের উপর ইউপিডিএফের পেট্রোল বোমা ও ককটেল হামলা, গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের পাল্টা গুলি

Boma

রামগড় প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির রামগড়ে গতকাল সোমবার সড়ক অবরোধ চলাকালে ইউপিডিএফের কর্মীরা কর্তব্যরত পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা বর্ষন ও ককটেল ফাটিয়েছে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালাতে তারা  জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এ সময় ইউপিডিএফের কর্মীরা ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িগামী নৈশ কোচসহ অটোরিক্সা ভাংচুর করে। লংগদু ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় রবিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে আটক হওয়া ইউপিডিএফের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দুই নেতার মুক্তির দাবীতে সংগঠনটি সোমবার খাগড়াছড়িতে আধা বেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সড়ক অবরোধকারীরা সোমবার ভোরে রামগড় জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথখামার এলাকায় রাস্তার উপর গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয়। রাস্তার দুপাশের ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগানের বেশ কিছু গাছ কেটে তারা রাস্তার উপর ফেলে রাখে। খবর পেয়ে রামগড় থানার এএসআই সিদ্দিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল যৌথখামারে গেলে রাস্তার দুপাশে টিলার উপর থেকে ইউপিডিএফের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ২-৩টি পেট্রোল বোমা ও ৪-৫টি ককটেল নিক্ষেপ করে।

বিকট শব্দে পেট্রোল বোমা ও ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়।  পুলিশ পাহাড়ের ঢালে অবস্থান নিয়ে আত্মরক্ষা করে। পুলিশের উপর বোমা ও ককটেল হামলার খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ অতিরিক্ত র্ফোস নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। এসময়  পুলিশ রাস্তার ব্যারিকেড সরিয়ে খাগড়াছড়িগামী ঢাকার চারটি নৈশ কোচ পাড় করে দেয়ার সময় অবরোধকারীরা গাড়ির উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে শান্তি পরিবহনের একটি নৈশ কোচের গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এসময় তারা দুটি সিএনজি চালিত অটো রিকসা ভাংচুর করে। রাস্তার দুপাশের টিলায় অবস্থান নিয়ে যানবাহন ও পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

Exif_JPEG_420

এদিকে খাগড়াছড়িগামী নৈশ কোচগুলোকে জালিয়াপাড়ায় পৌঁছে দিয়ে রামগড়ে ফেরার পথে যৌথখামার এলাকায় ইউপিডিএফের কর্মীরা পুলিশের উপর দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শরীফুল ইসলাম ইউপিডিএফের কর্মীদের পুলিশের উপর পেট্রোল বোমা ও ককটেল হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, এসময় পুলিশ দুই দফায় মোট ১৫ রাউন্ড শর্টগানে গুলি বর্ষন করে। ওসি আরও বলেন, ইউপিডিএফের বেপোরোয়া কর্মীরা যৌথখামার বনবীথি ব্রীজ হতে যৌথখামার স্কুল পর্যন্ত  পুরো রাস্তার উপর গাছ কেটে ফেলে রাখে। পুলিশ গুলি বর্ষন করলে তারা জঙ্গলে পালিয়ে যায়।

এদিকে পুলিশের উপর ইউপিডিএফের কর্মীদের পেট্রোল বোমা ও ককটেল হামলার ঘটনার খবর পেয়ে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার  আলী আহমেদ খাঁন ও রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ  ফরহাদ যৌখ খামার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন