রামগড়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত- ১০, দোকান ভাংচুর

Ramgarh 7

রামগড় প্রতিনিধি

জেলার রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারে সোমবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলায় ১০ ব্যক্তি আহত হয়। এ সময় একটি দোকান ভাংচুর করে হামলাকারীরা।

আহতদের মধ্যে ৬ জনকে রামগড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন, ওমর ফারুক(২৫), সবুজ সূত্রধর(২৬), মো. শাহজাহান(২৯), কেফায়েৎ উল্লাহ(৩৪), শাহ আলম(৩৫) ও মো. আলম(৪০)।

সোনাইপুল বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুণ বলেন, সোমবার বেলা একটার দিকে সোনাইপুল বাজারের খাগড়াবিলগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় বহন করা আটার বস্তা বিপরিত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার কাঠের সাথে লেগে ছিঁড়ে যায়। এনিয়ে সিএনজির যাত্রী ও আটার বস্তার মালিক কেফায়েৎ উল্লাহ এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার চালক শাহ আলমের মধ্যে প্রথমে তর্কবিতর্ক ও পরে হাতাহাতি হয়।

এ সময় কেফায়েৎ উল্লাহকে মারধর করা হচ্ছে মোবাইল ফোনে এমন খবর দেয়ার পর পৌরসভার মহামুনি এলাকা থেকে তার আত্মীয়স্বজনরা এসে বাজারের লোকজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ১০জন আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা একটি হার্ডওয়্যারের দোকানও ভাংচুর করে।

রামগড় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সবুজ সূত্রধর বলেন, বাজারে হাঙ্গামা দেখে তিনি দৌঁড়ে নূর নবীর হার্ডওয়্যার দোকানে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা ঐ দোকানের ভিতরে ঢুকে ইট ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সে দোকান থেকে বের হয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীদের কয়েকজন পূণরায় তাকে ধাওয়া করে ধরে প্রচণ্ড মারধর করেছে।

ওমর ফারুক নামে আহত আরেকজন বলেন, টমটমের চালক শাহ আলমের ভাই মো. আলমকে কয়েকজন হামলাকারী লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করতে দেখে তিনি তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাকেও বেদম প্রহার করে।

আহত টমটমের চালক শাহ আলম বলেন, সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী কেফায়েৎ উল্লাহর আটার বস্তা ছিঁড়ে গেলে সে চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। পরে সে মোবাইল ফোনে খবর দিলে মহামুনি এলাকা থেকে ৫-৬টি সিএনজি অটোরিক্সায় এসে ৩০-৪০ হামলাকারী লোহার রড, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোনাইপুল বাজারের ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ সাধারণ লোকজনের উপর হামলা চালায়।

সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী আহত কেফায়েৎ উল্লাহ বলেন, তার আটার বস্তা ছিঁড়ে গেলে তিনি এর প্রতিবাদ জানান। এতে টমটমের চালক ক্ষুদ্ধ হয়ে উল্টো তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে মহামুনি থেকে তার আত্মীয় স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে।

রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইন উদ্দিন খাঁন বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে কেউ এখনও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। মামলা দায়ের করলে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে রামগড় পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান কাজী রিপন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিশ্ব ত্রিপুরাসহ স্থানীয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন