রাবার ড্যাম কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভেঙ্গে গেল পেকুয়ার কৃষকদের স্বপ্ন
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী বাঘগুজারা মাতামহুরী রাবারড্যাম হঠাৎ করে পানিতে ফুলিয়ে দেওয়ার কারণে ব্যাপক এলাকায় পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ধান কাটা মহাউৎস চলছে। আবার অনেক অনেক জায়গায় একেবারেই ধান কাটা হয়নি। অনেক জায়গাই ধান কেটে রৌদে শুকাতে দিয়েছে জমিতে।
কৃষকদের অভিযোগ, এ মৌসুমে ফসল ভালো হলেও ধান পাকার পরে হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাস হওয়ায় ফলনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা নেমে আসে। কৃষকদের ধারণা ছিল এ মৌসুমে যেভাবে ফলন হয়েছে তাতে কানি প্রতি ১২০-১৩০ আড়ি ধান হবে। বাজারে যখন ধান দাম চড়া হয়েছে তাতে কৃষকরা এ ফলনে খুশিতে মেতে উঠেছিল। কিন্তু মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টি ও বাতাসে কেড়ে নিল কৃষকদের সেই স্বপ্ন। কৃষকদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে তচনচ হয়ে যায়। তারপরও কৃষকরা দিশেহারা হলেও তাদের রোপনকৃত ধান কাটা শুরু করে। এমনাবস্থায় বাঘগুজারা রাবার ড্যাম কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে রাবার ড্যাম হঠাৎ ফুলিয়ে পানি ঢুকিয়ে দেওয়ায় কৃষকদের পাকা ধান মাতামহুরীর পানিতে ডুবে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঘগুজারা সাঁকোর পাড়, শীলখালী হাজিরঘোনা সহ বেশ কয়েকটি এলাকার জমিতে পাকা ধান পানিতে ডুবে আছে। এ সময় বেশ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করেন কেন রাবার ড্যাম ফুলিয়ে দেওয়া হল। যখন ধান পাকা শুরু করে তখন বৃষ্টি ও বাতাসে একদফা ধান নষ্ট করেছে। আবার রাবার ড্যাম ফুলিয়ে পানি ঢুকিয়ে দিয়ে পাকা ধান নষ্ট করেছে কৃষকরা যাবে কোথায়?
রাবার ড্যাম পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা রহিম নামে এক কর্মচারী বলেন, এ রাবার ড্যামটি চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তার অধিনে পরিচালিত হয়। ওনারা যা বলেন তা আমি করি। সে আরও বলেন কিছু ক্ষন্ন আগে পেকুয়ার ইউএনও স্যার আমাকে রাবার ড্যামের ফুলা ডাউন করার জন্য বলেছেন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবদীন’র সাথে যোগাযোগ করার জন্য ওনার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বার বার কল দিলেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।