রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা সকল স্থাপনা মূছে ফেলার রায় প্রদানে আনন্দ মিছিল
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতা কারী পাকিস্তানের অন্যতম দোসর, যুদ্ধাপরাধী পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজাকার চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা সকল স্থাপনা সড়িয়ে ফেলতে হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে আনন্দ মিছিল করেছে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।
সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা কমিটি পুলিশ সুপারের বাংলোর সামনে হতে মিছিল প্রেসক্লাব চত্বরে এসে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ , খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাঈন উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ও ২ নং পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানার নেতৃত্বে অংশ গ্রহণ করে জেলা সহ সভাপতি জুয়েল দেবনাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল, জেলা সহ সাংগঠনিক পারভেজ আলম, আশ্রাফুল রণি, জেলা দপ্তর সম্পাদক বাবু মৃদুল বড়ুয়া, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আহ্বায়ক এসএম শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশিদ আলম , সদস্য সচিব মো. আমির হোসেন প্রমুখ।
খাগড়াছড়ি জেলা শাখার পক্ষ থেকে একা সভাপতি (ভারপাপ্ত) মো. মাঈন উদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক এস মাসুম রানা বলেন, হাই কোর্ট এ যুদ্ধাপরাধীর নামে থাকা সকল স্থাপনা মুছে ফেলতে ৯০ দিনের যে সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে তা কার্যকর করতে প্রশাসন যেন দ্রুততার সাথে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করে।
প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকী স্বরুপ যুদ্ধপরাধী ত্রিদিব রায়ের ছেলে দেবাশিষ রায়কেও বাংলাদেশের সকল পদ পদবী থেকে অতিসত্তর সরিয়ে নিতে হবে। কারণ যে যুদ্ধপরাধী রাজাকারের দেশের জন্য মায়া ছিলনা তার সন্তানেরও এ দেশের প্রতি কোন মায়া থাকলে সে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকতে পারতনা। পার্বত্য অঞ্চলের সকল বাঙালিরা দেবাশিষ রায়কে আর সহ্য করবেনা।
সরকার যদি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্বের সাথে সাংঘর্ষিক এ ত্রিদিব রায়ের ছেলেকে বাংলাদেশ হতে সরিয়ে না নেয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলকে রক্ষার স্বার্থে আমরা আগামিতে আরও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামব।