রাঙ্গামাটিতে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

`ইঁদুর দমন সফল করি, মাঠের ফসল গোলায় ভরি’ এবারের প্রতিপাদ্য নিয়ে রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান/১৭ উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য্য। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক।

ইঁদুর দ্বারা ক্ষতি, রোগ ও  ইঁদুর দমনের কৌশল সম্পর্কে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আপ্রু মারমা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, দেশের জাতীয় আয়ের এক উল্লেখযোগ্য অংশ আসে কৃষিখাত থেকে। কিন্তু প্রতিনিয়তই কৃষকের কষ্টার্জিত ফসলকে ইঁদুর মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। জেলার তৃণমূল পর্যায়ে ইঁদুরের ক্ষতিকর দিক ও নিধনের কৌশল সম্পর্কে কৃষকদের সম্যক ধারনা প্রদানের জন্য তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এক সময় পার্বত্য অঞ্চলে বাঁশে ফুল ফোটার ফলে ইঁদুরের বংশ বৃদ্ধি ঘটে। এতে বিপুল পরিমান ফসল নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা কাটিয়ে উঠতে তাদের অনেক সময় লেগেছে। তাই ইঁদুর নিধন করা আমাদের সকলের সামাজিক দায়িত্ব।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, এ মৌসুমে চাষের জমি খাদ্যশস্যে পরিপূর্ণ থাকে। ইঁদুর এসব শস্য ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ব্যাহত করে। তিনি বলেন, ইঁদুর উৎপাদিত ফসল খাওয়ার পাশাপাশি নষ্টও করে এবং মানবদেহে প্লেগ, জণ্ডিস, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রোগ ছড়ায়। তাই তাদের নিধনের জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের প্রয়োজন নেই। এক কথায় প্রতিনিয়তই এদের নিধন করতে হবে।

পরে আলোচনাসভা শেষে ১৩৫০টি ইঁদুর নিধনের জন্য বাঘাইছড়ি কৃষক প্রতুল চাকমা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ভুইয়াকে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন