রাঙামাটির সীমান্তে এক বিচ্ছিন্নতাবাদীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্ত থেকে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশর পার্টির সদস্য। বৃহস্পতিবার সকালে বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সেপ্রু পাড়ার পাহাড়ি ঝিড়ির থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহতের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয়দের তথ্য সূত্র জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সেপ্রু পাড়া থেকে কয়েশ গজ দূরে একটি পাহাড়ি ঝিড়ির কাছে একটি অজ্ঞাত নামে এক ব্যাক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বাম পাশের পাজরে গুলির চিহ্ন ছিল। তার পড়নে জলপাই রঙের কাপড় ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে তিনি মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশর পার্টির সদস্য। তবে তার নিহতের ঘটনা জানা যায়নি।
এব্যপারে রাঙামাটি বিলাইছড়ি উপজেলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম জানিয়েছেন নিরাাপত্তা বাহিনী সেপ্রু পাড়ার কাছে একটি লাশের কথা তাদের জানিয়েছে। তবে সেটি কার লাশ এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। লাশটি আনতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে ইতোমধ্যে রওয়ানা দিয়েছে। বড়থলি এলাকার লোকজন জানিয়েছেন লাশটির শরীরে সেনাবাহিনীর মত জলপাই রঙ্গের পোষাক পরা ছিল। বয়স ৪০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। পোশাক দেখে লাশটি অরাকান লিবারেশন পার্টির সদস্য বলে তারা ধারণা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সেপ্রু পাড়ার এলাকা থেকে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঢাকার দুই পর্যটক আবদুল্লাহ্ আল জুবায়ের ও জাকির হোসেন মুন্না ও তাদের গাইড মাংসাই ম্রোকেও অপহরণ করে। একই দিন বান্দরবানের রুমা উপজেলার আনন্দ পাড়া এলাকা থেকে অপর এক গাইড লালরিং সাং বমকে ধরে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অপহৃতদের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে অপহৃদের উদ্ধারে সীমান্তে সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্থানায় অভিযান চালাতে গিয়ে গুলিবিনিময়ের পর সেখান থেকে গ্রেনেড, অস্ত্র, ও গুলিসহ সন্ত্রাসীদের নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে রবিবার সকালে সেপ্রু পাড়ার অস্থায়ী সেনা ছাউনিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক সদস্য নিহত ও নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়।
এ ঘটনায় বান্দারবান-রাঙামাটি সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে ক্যাম্পগুলোতে। সন্ত্রাসীদের হামলার আশংকায় সেপ্রু পাড়া ও আশেপাশের পাড়াগুলোর লোকজন নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছে বলে জানা গেছে।