রাঙামাটির পাহাড় ধসে বাবা-মা হারানো জিহাদের দায়িত্ব নিল আনসার
নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে নিহত আনসার পরিবারের জীবিত একমাত্র সন্তান জিহাদের দায়িত্ব নিয়েছি। জীহাদ যতদিন স্কুলে পড়ালেখা করবে ততদিন প্রতিমাসে তাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এসএসসি পাশ করার পর তাকে আনসার কলেজে ভর্তি করা হবে। জীহাদের সব দায়িত্ব এখন থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর।
বুধবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনস্টিটিউট জেলা আসনার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত পাহাড় ধসে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত আনসার ভিডিপি পরিবার ও অন্যান্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মহা পরিচালক শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে দেশের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন এখনো দেড় বছর সময় বাকি। এ সময়ের মধ্যে সুষ্ঠভাবে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে এ বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা আসনার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার মো. আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. পারভেজ আকরাম, আনসার ও ভিডিপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার নির্মলেন্দু বিশ্বাস, রাঙামাটি জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল রেদুওয়ান ইসলাম ও জেলা অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ।
বাংলাদেশ আসনার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন আরো বলেন, রাঙামাটিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না। তবে সম্ভাব্য দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে আনসার, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। যাতে যে কোন বড় ধরনে দুর্ঘটনার হাত থেকে রাঙামাটিবাসীকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। আমরা যে ত্রাণ বিতরণ করতে এসেছি এটা ক্ষতির তুলোনায় কিছুই না। আমরা অসহায় মানুষগুলোর দুঃখের ভাগিদার হতে এসেছি।
পরে তিনি পাহাড় ধসে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্ত আনসার ভিডিপির ১০০ পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।