রাঙামাটিতে ‘বৈসাবি’ উৎসবে নেই পর্যটক
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি:
রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবিতেও নেই পর্যটক। প্রতি বছর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের উৎসবকে ঘিরে পর্যটকের ঢল নামতো রাঙামাটিতে। তবে এবার উৎসবে ভিন্নচিত্র। পর্যটকের ঢল নেই। তবুও স্থানীয় পাহাড়ি-বাঙালীদের আনন্দ উল্লাসে উৎসবমুখর রাঙামাটি।
জানা গেছে, সম্প্রতি দেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা আর টানা হরতাল অবরোধের কারণে পর্যটন শহর রাঙামাটি পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ে পর্যটন শিল্প ব্যবস্থা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা তিন মাস স্থবির ছিল রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সও। সেই সাথে লোকসানে পড়ে পর্যটক নির্ভর স্থানীয় হোটেল, মোটেল, রেস্তোঁরাগুলো। বেকার হয়ে পড়ে পর্যটন নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও শ্রমিকরা। তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবিকে ঘিরে পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীদের আবারও মুখে ফুটেছে হাসি। দেখা দেয় চোখে আশার আলো। ব্যস্ত হয়ে উঠে পর্যটকদের বরণ করতে। কিন্তু এবার উৎসবেও তেমন কোন পর্যটক আসেনি রাঙামাটিতে। তাই অগ্রিম বুকিং নেই।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে পর্যটকদের বিনোদনের জন্য গড়ে তোলা পর্যটন মোটেলের ঝুলন্ত ব্রিজ, ডিসি বাংলো ও পলওয়েল পার্ক, রাজবন বিহার, চাকমা রাজার বাড়ী এলাকায় স্থানীয়দের পদচারণা ছাড়া বাকি অন্যান্য সব স্পট একেবারেই ফাঁকা ।
রাঙামাটি হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক ও হোটেল প্রিন্সের মালিক মো. নেছার আহমদ বলেন, রাঙামাটিতে পর্যটক না আসার কারণে হোটেল মালিকদের ব্যবসা-বাণিজ্য থমকে গেছে। লোকসান গুনতে হয়েছে অনেক। ভেবে ছিলাম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বৈসাবি উৎসবে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নামবে। কিন্তু এবারও তেমন কোন পর্যটক আসছে না।
এ ব্যাপারে রাঙামাটির পর্যটন কমপ্লেক্সের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা জানান, এ সময়টা পর্যটকদের জন্য ভরা মৌসুম। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাঙামাটি পর্যটক আস নি। বৈসাবি উৎসবেও তেমন কোন পর্যটকদের দেখা মিলছেনা। পর্যটন মোটেলের ৮৫টি রুমের মধ্যে এখন বেশিরভাগ খালি। অগ্রিম কোন বুকিং নেই। রাঙামাটিতে পর্যটন খাতে এমন খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি আগে। প্রতিবছর পর্যটন খাত থেকে সরকারকে আশানুরুপ রাজস্ব দিতে পারতাম । কিন্তু এবার মৌসুমে পর্যটক শূন্যতার কারণে রাজস্ব আয়ের বদলে লোকসান দিতে হবে প্রচুর।