রাঙামাটিতে তেল গ্যাস উত্তোলনের বিরোধিতা করলেন সন্তু লারমা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলার কাচালং ও কাপ্তাই উপজেলার সীতা পাহাড় এলাকায় তেল ও গ্যাস উত্তোলন করা হলে এই এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ভূমি বিরোধ আরো বেড়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
সোমবার সকালে রাঙামাটি শহরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের আয়োজিত রাঙামটি পার্বত্য জেলার উপজেলায় কাচালং ও কাপ্তাই উপজেলার সীতা পাহাড় এলাকায় তেল ও গ্যাস উত্তোলন বিষয়ে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয় দুটি উপজেলার ১ হাজার ৬৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে এ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
সভার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলার কাসলং এলাকায় ৯৭২ দশমিক ৭৩ বর্গকিলোমিটার এবং কাপ্তাই উপজেলার সীতাপাহাড় এলাকার ৬৭৩ দশমিক ২৬ বর্গকিলোমিটারজুড়ে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দুটি কোম্পানির সঙ্গে বাপেক্স ‘খসড়া যৌথ সহযোগিতা চুক্তি’ করেছে।
সভায় বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠি থেকে বিষয়টি অবহিত হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদ। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু আঞ্চলিক পরিষদ মনে করে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতা ও সুশীল সমাজের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। সবার মতামত সরকারের কাছে প্রস্তাব আকারে তুলে ধরতে চায় আঞ্চলিক পরিষদ।
সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি না করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা হলে ভূমি নিয়ে জটিলতা আরও বাড়বে। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ আহরণের আগে পার্বত্য আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদ, সার্কেলপ্রধান ও মৌজাপ্রধানদের (হেডম্যান) মতামত সম্মতি ও অংশগ্রহণ আবশ্যক বলে তাঁরা দাবি করেন। কিন্তু বাপেক্স দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে, সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নেই।মতবিনিময় সভায় জানানো হয় দুটি উপজেলার ১ হাজার ৬৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে এ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
সভার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলার কাসলং এলাকায় ৯৭২ দশমিক ৭৩ বর্গকিলোমিটার এবং কাপ্তাই উপজেলার সীতাপাহাড় এলাকার ৬৭৩ দশমিক ২৬ বর্গকিলোমিটারজুড়ে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দুটি কোম্পানির সঙ্গে বাপেক্স ‘খসড়া যৌথ সহযোগিতা চুক্তি’ করেছে।
সভায় বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠি থেকে বিষয়টি অবহিত হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদ। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু আঞ্চলিক পরিষদ মনে করে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতা ও সুশীল সমাজের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। সবার মতামত সরকারের কাছে প্রস্তাব আকারে তুলে ধরতে চায় আঞ্চলিক পরিষদ।
সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি না করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা হলে ভূমি নিয়ে জটিলতা আরও বাড়বে। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ আহরণের আগে পার্বত্য আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদ, সার্কেলপ্রধান ও মৌজাপ্রধানদের (হেডম্যান) মতামত সম্মতি ও অংশগ্রহণ আবশ্যক বলে তাঁরা দাবি করেন। কিন্তু বাপেক্স দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে, সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নেই।
তিনি বলেন, পার্বত্য এইসব এলাকায় যদি তেল ও গ্যাস উত্তোলন করা হয় তা হলে এখানে বসবাসরত হাজার হাজার পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে যাবে। পাহাড়ের ভূমি বিরোধকে আরো জটিল করে তুলবে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি-২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য পিসিজেএসএস নেতা ঊষাতন তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পিসিজেএসএস সমর্থিত অরুন কান্তি চাকমা, পিসিজেএসএস সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, খাগড়াছড়ি হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি পিসিজেএসএস নেতা শক্তিপদ ত্রিপুরা ও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য আওয়ালীগ নেতা হাজী কামাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা এ্যাড. দীপেন দেওয়ান, পিসিজেএসএস সমর্থিত আদিবাসী ফোরামের নেতা সাবেক উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা ও পিসিজেএসএস নেতা রক্তোৎপল ত্রিপুরা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কাচালং ও সীতা পাহাড় এলাকায় তেল ও গ্যাস উত্তোলনের মাধ্যমে এই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষরা কিভাবে উপকৃত হবে, তাদের স্বার্থ কি হবে, তাদের সঠিকভাবে পুর্নবাসন করা হবে কিনা, কোথায় তাদের পুর্ণবাসন করা হবে, ভূমি বিরোধ কি পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে এছাড়া এখানকার জীব বৈচিত্র্য,পরিবেশ ও বনভুমি কি পরিমাণ ক্ষতি হবে এই নিয়ে সরকারকে আগে ভাবতে হবে।