রাখাইনে ৮৬ হিন্দু রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু রোহিঙ্গারাও বাংলাদেশে আসছেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অন্তত ৮৬জন হিন্দু রোহিঙ্গা। এক সপ্তাহে সপরিবার পালিয়ে এসেছে সাড়ে ৫শ’ সনাতন ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা।

৪ দিন আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এ হিন্দু রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে হিন্দু পাড়ার একটি পরিত্যক্ত মুরগী খামারে।

তারা বলছেন, মুসলিমদের পাশাপাাশি হিন্দুদের উপরও হামলা নির্যাতন হচ্ছে মিয়ানমারে। জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়িঘর, লুটপাট হচ্ছে সম্পদ। দিশেহারা হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশের দিকেই আসছেন তারা।

তারা জানিয়েছেন, অন্তত ৮৬জন হিন্দু রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে বর্মি বাহিনী। আশ্রয় নেয়া হিন্দু রোহিঙ্গাদের খোঁজ নিতে যায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদল।

রোববার রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদী থেকে ১৬৪জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। সেসময় রোহিঙ্গা বোঝাই ৯টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিচ্ছে।

গত কয়েকদিনে সীমান্তের কক্সবাজার টেকনাফের নাফ নদী ও বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ির ঘুমধুম থেকে ৫৪জন রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় গত আট দিনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৪ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার পর সেনা অভিযানের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে জড়ো হতে থাকে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কড়া নজরদারি সত্ত্বেও সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে বহু রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন