রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্মূলে মিয়ানমারকে অস্ত্র দিচ্ছে ইসরাইল
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে অস্ত্র-সরঞ্জাম দিয়ে ইসরাইল সহায়তা করছে বলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
বিভিন্ন রিপোর্টে বলা হয় যে মিয়ানমার বাহিনীর রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযান চলাকালে দেশটির কাছে ইসরাইল অত্যাধুনিক অস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে সুপার ডোভরা নামে ইসরাইলের তৈরি নৌ টহল যানও রয়েছে। এতে কাস্টম-মেড রিমোট উইপন স্টেশন রয়েছে। এসব নৌযানকে রাখাইনের আশেপাশের নদী ও সাগরে দেখা গেছে। ইসরাইলের সঙ্গে মিয়ানমারের চুক্তি অনুযায়ী এসব অত্যাধুনিক নৌযান সরবরাহ করা হয়।
সূত্র জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে এ ধরনের অন্তত আরো দুটি বোট সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ-এর রামতা ডিভিশন। ইসরাইলের সহায়তা ও প্রযুক্তিতে মিয়ানমারে বোট দুটি সংযোজন করা হবে।
এ জন্য দু’দেশের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়েছে বলে সূত্র উল্লেখ করে।
জাতিসংঘের ভাষায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ শুরুর পর গতমাসে বিভিন্ন সংগঠন দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রি না করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানালেও সে এতে অস্বীকৃতি জানায়।
সম্প্রতি ইসরাইল সফরে যান মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হলাইং। সেখানে তিনি ইসরাইলের শীর্ষ সামরিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মিয়ানমার ও ইসরাইলের মধ্যে প্রতিরক্ষা এমওইউ সই হয়।
তখনই হলাইং জানান যে তিনি সুপার ডোভরা পেট্রোল বোট কিনেছে। তিনি ইসরাইলের গাজা ডিভিশনের পালমাহিম বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন।
এর আগে ইসরাইল থেকে এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপনাস্ত্র ও কামান কিনতে রাজি হয় মিয়ানমার। ইসরাইলী প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘টিএআর আইডিয়াল কনসেপ্টস’ মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: south asian monitor