রাখাইনে বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে ত্রান বিতরণের সুযোগ দিতে রাজি মিয়ানমার
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় জাতিসংঘকে আবার ত্রাণ দেওয়ার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশুদের মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকার চিত্র ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে উঠে আসার পর মিয়ানমারের এই ‘সবুজ সংকেত’ এল।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মুখপাত্র বেটিনা ল্যুশার সাংবাদিকদের বলেন, তারা এখন পর্যন্ত কেবল ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছেন। বিস্তারিত বিষয়ে এখনও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে আগে এক লাখ ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রেশন হিসেবে খাবার বিতরণ করত বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশাপাশি স্থানীয় রাখাইন বৌদ্ধরাও ছিল।
এক রাতে কয়েক ডজন পুলিশ পোস্টে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর গত ২৫ আগাস্ট মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় নতুন করে অভিযানে নামলে ত্রাণকর্মীদের ওই এলাকায় যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাখাইনের মধ্যাঞ্চলে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ত্রাণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। সেনা অভিযান শুরুর পর গত দুই মাসে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আরও চার লাখের মত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে গত কয়েক দশক ধরে।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল- ইউনিসেফের হিসাবে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, যা মোট রোহিঙ্গা সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। আর এই শিশুদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার।
ইউনিসেফের মুখপাত্র মারিক্সি মেরকাডো জেনেভায় ব্রিফিংয়ে বলেন, সেনা অভিযান শুরুর আগেই রাখাইনের বুথিডং ও মংডুতে রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বিপদজনক মাত্রায় ছিল। সেখানে চার হাজার শিশুকে মারাত্মক অপুষ্টির চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, যা ২৫ অগাস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে।
সূত্র: বিডি মর্নিং