Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রমজানের আগেই নিয়ন্ত্রণহীন পণ্যবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পবিত্র রমজান আসতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি। আর এ রমজানকে সামনে রেখে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে রোজার প্রধান অনুষঙ্গ ছোলা, খেসারি ও মসুর ডালের বাজার দর। কক্সবাজারে উৎপাদন ও আমদানি কম ও জাতীয় বাজারে দাম বেশি থাকায় রোজার আগে পণ্যগুলোর দাম আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে যারা কক্সবাজারে এলসির মাধ্যমে পণ্য আমদানি করে তারা ইচ্ছেমত দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক পাইকারী ব্যবসায়ীরা। আর পাইকারী বাজারে দাম বাড়ার কারণে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

এর আগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে হুশিয়ারি দেয়া হলেও এখনো পর্যন্ত নেই কার্যকর কোন ব্যবস্থা। এক শ্রেণীর অসাধু ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন বলে ক্রেতাসাধারণ অভিযোগ করেছেন। একারণে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।

খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলাজুড়ে বাজারে বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ধাপে ধাপে দাম বেড়েছে সবজির। এ দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই মাছের দামও। তবে সামুদ্রিক মাছের বাজারটাই যেন একটু বেশি গরম।

কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন বাজারের একাধিক বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ কম থাকায় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। গেল সপ্তাহ থেকে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে তারা ‘রোহিঙ্গা ও সামনে রোজা’কেই দায়ী করছেন। ফলে বেড়েছে মাছের দাম। এছাড়া সবজির দামও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে বলে জানান তারা।

রোববার (১৩ মে) কক্সবাজার শহরের কালুর দোকান, কানাইয়াবাজার ও বাহারছড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকায় যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা, তিত করলা ৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০/৩৫ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, কচুর লতি ৪৫ টাকা, ঝিঙ্গা কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজি ৩০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, শশা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬৫ থেকে ৮০ টাকায়।

শহরের বাহারছড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা মাহফুজ আহমেদ বলেন, সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেশি দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মিঠা পানির মাছের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোরাল মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, সুরমা বিক্রি হচ্ছে ৫২০ টাকায়, রূপচাঁদা জাত ও আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকায়, ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ১১০০ টাকায়। এছাড়া তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকায়, রুই মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, কাতলা মাছ ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ টাকা, মাগুর মাছ ৭০০ টাকা, বোয়াল ৫২০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়।

শহরের কানাইয়া বাজারের মাছ বিক্রেতা আবদুল্লাহ জানান, সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম। তাই বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ। তবে মিঠা পানির মাছগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শহরের বৈদ্যঘোনা থেকে বাজার করতে আসা দিল মোহাম্মদ বলেন, বাজারে সবকিছুর দামই বেশি মনে হচ্ছে। সবজির দাম একটু বেশি। আর মাছের দামতো অনেক বেশি।

এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। এছাড়া গরুর মাংস হাড়সহ ৫৫০ টাকা, হাড়ছাড়া ৬০০ টাকা, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি।
অপরদিকে মাহে রমজান যতই ঘনিয়ে আসছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পিয়াজ, রসুন, তৈল, আদা, চুলা, মসুর ডাল, ঘি, মুড়ি, শসা, খেজুরসহ রমজানের নিত্য পণ্যের দাম নাগালের বাইরে হাকিয়ে নিচ্ছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা।

১৩ মে শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই রমজানের বাজার না করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। হঠাৎ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন মালামাল মজুদ করে রমজানকে সামনে রেখে দ্বিগুন দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। আসছে রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতা সাধারণ।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে সমস্ত ব্যবসায়ীদের দাম বাড়তি না নিতে ও টাটকা মালামাল বিক্রি করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি কোন ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট দামের বাইরে নিত্যপণ্য বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন