Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রবিবার খাগড়াছড়িতে আ’লীগের বিক্ষোভ ও প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের কাছে স্বারকলিপি প্রদান

নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে রবিবার খাগড়াছড়িতে আ’লীগের বিক্ষোভ ও প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের কাছে স্বারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মামলা, মামলা গ্রহণে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদে ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম, তার বড় ভাই খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবিতে আগামী রোববার বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনুসারীরা।

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জেলা সদরের কদমতলীস্থ জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, সহ সভাপতি মনির হোসেন খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুরুন্নবী চৌধুরী, সহ-সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য এডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শানে আলম, জেলা আওয়ামী লীগে প্রচার সম্পাদক ক্যাজরী মারমা, সহ-প্রচার সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জুয়েল চাকমা, জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান হেলাল,  সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত পৌর নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতা করার অভিযোগে  জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম, দিদারুল আলম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। তাদের অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। সর্বশেষ দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে গত ১ লা আগস্ট শোক র‌্যালি থেকে ফেরার পথে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ মিয়া ও জামাতা হেলালকে কুপিয়ে আহত করে। কিন্তু সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে গড়িমসি করছে। অথচ ইতিপূর্বে  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরার নামে বিনা তদন্তে মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে পুলিশ পক্ষপাতিতের পরিচয় দিয়েছে। তবে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মো. আব্দুল হান্নান মামলা গ্রহণে গড়িমসির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা দেওয়ার আগেই পুলিশের একাধিক টিম সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে মনির হোসেন খান অভিযোগ করে, দিদারুল আলম ও রফিকুল আলমের নেতৃত্বে গত পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে হামলা চালিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য মংশেপ্রু চৌধুরী অপু, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শানে আলম, শ্রমিক নেতা জানু সিকদার, মতিন মিস্ত্রী, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, নুরু মোহাম্মদ ও জামালসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে আহত করেছে। হামলায় আহত অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।

তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির লোকজন আগস্টের দলীয় কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিরোধ করেছে। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সংগঠনটিকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করে লুটপাটের রাজম্ব কায়েম করেছে। প্রতিবাদী নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। অপর দিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যাচার করছে।

প্রসঙ্গত, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে গত দুই বছরে অন্তত অর্ধশতাধিক বার হামলা-পাল্টা হামলার মামলার ঘটনা ঘটে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন