Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রবিউল হত্যাকাণ্ডের অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি কংজরী চৌধুরীর

গুইমারা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি গুইমারা উপজেলার আলোচিত হত্যাকাণ্ড গত ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী কর্তৃক নিহত রবিউলের জানাজা ও দাফন গতকাল রাত ১০.৩০টার সময় সম্পন্ন হয়।

দাফন কালে পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী নিহত রবিউলের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ৫০,০০০ টাকা অনুদান নিহত রবিউলের পিতা হাজী মন্নানের হাতে  প্রদান করেন এবং অপরাধী যেই হোক তাকে অচিরেই আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য গুইমারা উপজেলার সকল স্থরের মানুষকে অনুরোধ জানান তিনি।

দাফন ও জানাযা কালে ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. রোবায়েত মাহমুদ হাসিব উপস্থিত সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রকৃত অপরাধীকে সনাক্ত ও গ্রেফতারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়ে নিহত রবিউলের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ি উশ্যেপ্রু মারমা, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান, অফিসার ইনর্চাজ গুইমারা থানা, মেমং মারমা ইউপি চেয়ারম্যান, গুইমারা উপজেলা বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীসহ গুইমারা, জালিয়াপাড়ার সমব্যথি অসংখ্য জনসাধারণ।

প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলার অন্তর্গত সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়ন তৈকর্মা এলাকায় ধান ক্ষেত থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক রবিউল ইসলাম নামে একজন বাঙ্গালীর লাশ ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে গুইমারা থানা পুলিশের একটি ফোর্স লাশটি উদ্ধার করেছে। ।স্থানীয় জনসাধারণ মনে করছে পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।

নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক কঠিন শাস্তির  দাবিতে আগামী ৪৮ ঘন্টার  আল্টিমেটাম দেন। এর মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালি ছাত্র পরিষদ  কঠিন কর্মসূচি  দিতে বাধ্য হবে বলেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুইমারা উপজেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, উপজেলার গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সিন্দুকছড়ি জোনের আওতাধীন গুইমারা সাবজোনের দায়িত্বরত সাবজোন কমান্ডার কেপ্টেন আলতফের নেতৃত্বে এখনো গুইমারা, জালিয়াপাড়া, বড়পিলাক এলাকার গুরুত্বপুর্ন স্থানগুলোতে সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে এখন পর্যন্ত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন