রঙেঢঙে পানছড়িতে চলছে বর্ষবরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি, পানছড়ি:
বর্ষবরণ ও বিদায়ের উৎসব বৈসাবি নিয়ে পুরো পানছড়ি ব্যাপী জমে উঠেছে রঙেঢঙে। র্যালি ও দৃষ্টিনন্দন নাচ-গান আর অনাবিল আনন্দে মেতে উঠেছে পানছড়ির প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শুরু করে গ্রামীন জনপদগুলোও। বর্ষবরণের সূচনালগ্নে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বৃহত্তর টিএন্ডটি বৈসাবি উদযাপন কমিটির আয়োজনে এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
শুক্রবার(১৩এপ্রিল) সকাল থেকেই শুরু হয় ত্রিপুরাদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ও প্রধান উৎসব বৈসুক। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য উপস্থিত থেকে বেলুন ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে এর উদ্বোধন করে। এর পর পরই বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ, পানছড়ি আঞ্চলিক শাখা ও বৈসু উদযাপন কমিটির আয়োজনে এক র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় ঢাক-ঢোলের আওয়াজে মুখরিত করে তোলে চারিদিক। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল এ সময় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
বৈসু পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বরেন ত্রিপুরা জানায়, চৈত্র সংক্রান্তি বৈসু ও শুভ নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ ও ১৪২৮ ত্রিপুরাব্দকে স্বাগত জানাতে এই র্যালিতে উপজেলার ৭৮টি ত্রিপুরা অধ্যুষিত গ্রামের লোকজন স্বতষ্ফুর্ত অংশ নিয়ে প্রাণবন্ত করে তোলে।
মারমাদের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের প্রথম দিনসহ তিনদিন পালিত হয় এই উৎসব। এই উপলক্ষে শুক্রবার সকালে উপজেলার কানুনগো পাড়া এলাকা থেকে মারমা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে বর্ষবরণের এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
এ সময় মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের প্রতি পানি ছুড়ে স্নিগ্ধতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ভিজিয়ে দেয় পরষ্পরকে। চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালিরাও বাংলা নববর্ষে হয়ে উঠে আনন্দে উদ্বেলিত।
