ময়লা-আবর্জনায় নাকাল কুতুবদিয়া ধূরুংবাজার
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার প্রসিদ্ধ ধূরুং বাজারে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার অভাবে আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। সাত শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৃহৎ এ বাজারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য রয়েছে মাত্র একজন ঝাড়ুদার। ফলে প্রতিনিয়ত বাজারের অলী-গলিতে জমে থাকে নানা আবর্জনা।
বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী এম. শওকত আলম, কীটনাশক ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দিন, ফার্মেসিম্যান কাইছার উদ্দিন, হোটেল ব্যবসায়ী মো. নুরুল আলম সহ অনেকেই জানান, বাজারের প্রধান ৩টি গলি-রাস্তায় প্রতিদিন ঝাড়ু দেয়া হয়না। প্রতি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাজার বসছে। বাজারের ভিতরে প্রতিদিন ঝাড়ু না দেয়ায় ময়লা-আবর্জনা জমে যাতায়াতে বিঘ্ন হচ্ছে পথচারি ও ব্যবসায়ীদের। বিশাল এ বাজারে মাত্র একজন ঝাড়ুদার দিয়ে দায়িত্ব পালন শেষ করছে সংশ্লিষ্ট ইজারাদার।
অপর দিকে নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এমনিতেই বাজারে পুরো ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন অস্থায়ী দোকান বসায় পথচারি-ক্রেতাদের ভোগান্তির শেষ নেই। নিজ নিজ দোকানের সামনে অনেক ব্যবসায়ী নর্দমা দখল করে দোকানের আয়ত্বে নিয়েছেন বলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসকেএস রনী জানান।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বাজার পরিচালনা কমিটি নেই। যে কারণে যাচ্ছেতাই ভাবে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। কমিটি থাকলে অনেকটাই দেখভাল হতো বলে মনে করেন কেউ।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সিকদার বলেন, বাজারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুধু ইজারাদারের উপর ছেড়ে দিলে চলবেনা। ব্যবসায়ীদেরও সচেতন হয়ে যত্র-তত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর এ জন্যে শক্তিশালী একটি পরিচালনা কমিটি গঠন জরুরী হয়ে পড়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
বাজারের ইজারাদার কামরুল হাসান সিকদার বলেন, বিশাল বাজারে একজন ঝাড়ুদার দিয়ে পুরো পরিষ্কার করা সম্ভব হয়না। একজন ঝাড়ুদারের বেতন এখন দুইগুন বেড়েছে। তাছাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট স্থানে ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে অলিতে-গলীতেই ফেলে দিচ্ছে। যে কারণে প্রতিদিনই সমস্যা আরো বাড়ছে। বাজারে একটি কমিটি গঠন করে তাদের পক্ষ থেকে আর একজন ঝাড়ুদার নিয়োগ দেয়া হলে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলেও তিনি জানান।