মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়ার জেরে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও বাঙালি ছাত্র পরিষদ সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও বাঙালি ছাত্র পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আট জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদের মাঠে পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানার মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়ার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকাল আরও একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
খাগড়াছড়ি পৌর কাউন্সিলর’র ও জেলা বাঙালি ছাত্র সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানার অভিযোগ করেন বিকালে তাকে অজ্ঞাত একটি মোবাইল নাম্বার থেকে উপজেলা পরিষদ মাঠে ডেকে নেওয়া হয়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিষদ মাঠ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বসলে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা তার মোটরসাইকেলটি জ্বালিয়ে দেয়। তিনি আগুন নিভানোর জন্য গেলে তার উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
এর পর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে আরও একটি মোটরসাকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার প্রতিবাদে বাঙালি ছাত্র পরিষদের কর্মীরা তাৎক্ষনিক মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যতায় বৃহস্পতিবার থেকে খাগড়াছড়িতে লাগাতার সড়ক অবরোধের ঘোষনা দেওয়া হয়। ঘটনার পর শহরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বনভোজনের আয়োজন করে। বনভোজনে পাহাড়ী ছাত্রদের অংশ না নিতে পিসিপি প্রচারণা চালায়। এর জেরে ক্যাম্পাসে পাহাড়ি-বাঙালি শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আর এর সমাধান করতে বিকেলে পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানাকে উপজেলা মাঠে আসতে বলা হয়। তবে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম মুঠোফোনে জানান, শিক্ষার্থীদের বনভোজনের বিষয়ে তিনি অবগত নন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।