মৃত্যুরও গতি আছে

প্রতিটি প্রাণিরই জন্ম যেমন সত্য তেমনি মৃত্যুও সত্য। জন্মালে মরতে হবেই, এই কথাটি সবাই মানেন। কিন্তু এই মৃত্যু কীভাবে হয়, মৃত্যু কি শ্লথ গতিতে প্রবেশ করে মানব শরীরে? এই প্রশ্নের চাঞ্চল্য তথ্য জানালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের একদল বিজ্ঞানী।

গবেষকরা জানিয়েছেন, শরীরে মৃত্যু প্রবেশ করার পরে ফুটবল স্টেডিয়ামে মাস ওয়েভ যেভাবে দেখা দেয়, তেমন গতিতেই নাকি জীবকোষগুলো একে একে মারা যেতে শুরু করে। আর এই তরঙ্গের গতি অতি দ্রুত। প্রতি মিনিটে ৩০ মাইক্রোমিটার। যতক্ষণ না পর্যন্ত দেহের সব কোষ মারা যায়, ততক্ষণ এই ওয়েভ চলতে থাকে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম মিশরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষক দলের অন্যতম সদস্য জেমস ফেরেল এবং জিয়নরুই চেং এক প্রকার ব্যাঙের ডিমের উপরে পরীক্ষা চালিয়ে দেখান, আণবিক স্তরে ডেথ সিগন্যাল কতটা দ্রুত গতিতে কাজ করছে। কোষগুলোর মৃ্ত্যু-তরঙ্গকে তারা স্পষ্ট দেখিয়েছেন।এই তরঙ্গকে ট্রিগার ওয়েভ বলছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাঙের ডিম যেহেতু এক বৃহদাকৃতির কোষ, সেহেতু এই তরঙ্গ এখানে খালি চোখেই দৃশ্যমান।

এই গবেষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। এ থেকে ক্যানসারের মতো রোগের প্রকৃতি নির্ণয় সংক্রান্ত পদ্ধতি উপকৃত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন