Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মিয়ানমারের সঙ্গে বিতর্কে পোপও

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

সব পক্ষেরই নজর ছিল, কী বলেন তিনি! এককালে যার মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘আমাদের রোহিঙ্গা ভাইবোনের সঙ্কটে আমি ব্যথিত’, মঙ্গলবার সেই মুখে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটা একবারও উচ্চারিতই হলো না। মিয়ানমার সফররত পোপ ফ্রান্সিসের প্রতিক্রিয়ায় তাই হতাশ অনেকেই। দেশের সেনাপ্রধানের পাশাপাশি পোপের দেখা হয়েছে সরকারের পরামর্শদাতা তথা কার্যত সরকার প্রধান অং সান সু চির সঙ্গে। বৈঠকের পর পোপ ফ্রান্সিস শুধু বলেন, ‘সব জাতিগোষ্ঠী ও পরিচয়ের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো উচিত।’
.
সু চি-র পাশে দাঁড়িয়ে এমন সুরেই কথা বলেছেন পোপ। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিয়ে জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ সরব হলেও সু চি-র মুখ থেকে কোনও আপত্তিই শোনা যায়নি। মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী সু চির এই নীরবতায় সমালোচনার ঝড় বয়েছে।

আর মিয়ানমারের মাটিতে দাঁড়িয়ে পোপের কথাতেও তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। যে দেশে জাতিগত নিধন চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ, সেখানে পোপ বলে গেলেন, ‘শান্তি ও জাতীয় স্তরে ঐক্য ফেরাতে কঠোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যাতে মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের প্রতি সম্মান রক্ষা হয়।’
পোপের পাশে দাঁড়িয়ে সু চিও বলে গেলেন সাধারণ কিছু কথাই। তবে একবার রাখাইন প্রদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সপ্তাহব্যাপী সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও যাবেন পোপ। কিন্তু মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের যে বিপুল সংখ্যক নিপীড়িত এবং বিতাড়িত মানুষকে বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে, তা নিয়েও একটি শব্দ খরচ করেননি পোপ। উল্টে সু চির প্রতি সমর্থন দেখিয়ে তিনি অবাক করেছেন অনেককেই। বক্তৃতা দেওয়ার আগে অল্প সময়ের জন্য সাক্ষাৎ হয় দুইজনের। পরে পোপ বলেন, কয়েক দশকের সেনা শাসনের পর মিয়ানমারে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে যেভাবে সু চি এক ছাতার তলায় আনতে পেরেছেন, তা প্রশংসনীয়।

এর কয়েক ঘণ্টা আগেই অবশ্য সু চিকে দেওয়া সম্মান ফিরিয়ে নিয়ে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, হিংসা নিয়ে নীরব থেকে সু চি তাদের প্রতিষ্ঠানকেই কলঙ্কিত করেছেন। তাই তাকে দেওয়া ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি’ পুরস্কার ফিরিয়ে নিচ্ছে তারা।

এ হেন পরিস্থিতিতে সু চির প্রশংসা এবং রোহিঙ্গা শব্দটা এড়িয়ে যাওয়ায় পোপকে নিয়ে যথেষ্ট হতাশ মানবাধিকার নিয়ে আন্দোলনকারীরা। হতাশ রোহিঙ্গাদের পক্ষে কাজ করা বিভিন্ন গোষ্ঠীও। রাখাইন প্রদেশের বাইরে সিত্তের এক শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা কও নেইং বলছেন, ‘ভেবেছিলাম পোপ অন্তত আমাদের দুর্দশার কথা বলবেন। কিন্তু উনি রোহিঙ্গা শব্দটা উচ্চারণই করলেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া শাখার উপ-প্রধান ফিল রবার্টসনের আশা, বুধবারের বিশেষ প্রার্থনায় (মাস) পোপ হয়তো রোহিঙ্গাদের কথা উল্লেখ করবেন। মিয়ানমারে পৌঁছনোর পর পোপের দেখা হয়েছিল সেনাপ্রধান জেনারেল মিন আউং লাইংয়ের সঙ্গে। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের জন্য আঙুল উঠেছে এই জেনারেলের দিকেই। পোপের সঙ্গে সাক্ষাতের পর জেনারেলের দফতর ফেসবুকে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পোপ সব সম্প্রদায়ে বিশ্বাস, শান্তি, ঐক্য এবং ন্যায় বজায় রাখার কথা বলেছেন। পোপকে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে জাতিভিত্তিক বা ধর্মভিত্তিক কোনও বৈষম্য নেই।’

 

সূত্র: পরিবর্তন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন