সরে গেল মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ : তিনদিন পর পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল শুরু

teknaf pic 3-6-14 (2)

টেকনাফ প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্বদিকে নিজেদের জলসীমায় মোতায়েন করা মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ গুলো সরে গেছে। সেন্টমার্টিনের আশেপাশের এলাকা থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি জেলেরা এই তথ্য জানিয়েছেন।

 সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, গত শুক্রবার থেকে দ্বীপের পূর্বদিকে সে দেশের নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করার খবর পেয়েছি। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ গুলো দেখা যাচ্ছে না। তবে সোমবার সকাল থেকে সেন্টমার্টিনে বাংলাদেশের জলসীমায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৫টি যুদ্ধজাহাজ টহল দিতে দেখা গেছে। এ কারণে হয়তো মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ গুলো ফিরে গেছে।

সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লে. শহিদুল আল-আহসান জানান, সেন্টমার্টিনের পূর্বে মিয়ানমারের মংডু থানার হাসুরাতা ও কিলা দং এলাকায় সমুদ্রে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ অবস্থান করছিল। সেগুলো সোমবার সকাল থেকে ওই এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তাই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক করা হয়েছে।

এদিকে টেকনাফ স্থল বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা নুরে আলম জানান, রবিবার রাত নয়টা থেকে সোমবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পণ্যবোঝাই ১৩টি  ট্রলার স্থলবন্দরে আসে। স্থলবন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ হাসেম বলেন, সকালে ৫০ টন কাঠবোঝাই তার একটি ট্রলার মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে উত্তেজনার পর সে দেশের সমুদ্র সীমানায় মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ টহলরত থাকায় গত দুইদিন মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী ট্রলার আসতে পারেনি। সীমান্তের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হয়ে আসায় রবিবার রাত নয়টা থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রলার আসছে। সোমবার টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে পণ্য সামগ্রী মিয়ানমারে রপ্তানি হয়েছে।

আরও খবর

পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় দৃষ্টির মধ্যে রাখতে হবে

নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং কক্সবাজার নিয়ে

কি ঘটবে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন সংশোধন প্রস্তাব কার্যকর হলে?

পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহার ও খ্রিস্টান অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: টেকনাফ, বঙ্গোপসাগর, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন