Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মিয়ানমারের জেনারেলদের বিচার চায় যুক্তরাষ্ট্র

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

রাখাইনে বেসামরিক রোহিঙ্গাদের হত্যা ও ধর্ষণের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় মিয়ানমারের সেনা নেতৃত্বকে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি।

রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করারও আহ্বান এসেছে তার কাছ থেকে।

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে নিকি হেলির এ আহ্বান আসে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট এই প্রথমবারের মতো রাখাইনে দমন-পীড়নের পেছনে জড়িত সেনা নেতৃত্বকে শাস্তির মুখোমুখি করার কথা বলেছে। কিন্তু বারাক ওবামা প্রশাসনের সময় মিয়ানমারের ওপর থেকে তুলে নেওয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা নতুন করে আরোপের যে হুমকি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দিচ্ছিল, সে প্রসঙ্গ আর টানেননি হেলি।

বৈঠকে তিনি বলেন, মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ একটি নৃগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে যে নির্মম অভিযান চালাচ্ছে সে কথা বলতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বিধা থাকা উচিত নয়।

“মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অবশ্যই মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের অবশ্যই দায়িত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে এবং অপরাধের জন্য বিচারের আওতায় আনতে হবে।

“একইসঙ্গে সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এমন যে কোনো দেশের উচিত, মিয়ানমার পর্যাপ্ত জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার আগ পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা।”

রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের সহিংসতার মুখে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘ।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া না মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, মিশর, সেনেগাল ও কাজাখস্তানের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদ এই বৈঠকে বসে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈঠকে বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান সহিংসতা মধ্যাঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে। ফলে সেখানেও আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অবিলম্বে ত্রাণ সংস্থাগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বর্তমান অবস্থান নিয়ে তিনি উদ্বেগ জানিয়েছেন।

এই সঙ্কটের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোসহ পুরো অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক অসন্তোষের ঝুঁকি দেখা দেওয়ার বিষয়েও সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহসাচিব।

 সূত্র: bdnews24
Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন