মিয়ানমারের ‘আরসা’ সন্ত্রাসীদের আটকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ
পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’(বিজিবি) মিয়ানমার থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র সদস্যদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে রাখাইন রাজ্যে পুর্নবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো’তে মঙ্গলবার(১৪ নভেম্বর) বিজিবি ও এমপিএফ (মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স)’র চতুর্থ সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি এ আহ্বান জানায়। সম্মেলনে মিয়ানমার থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ ৯টি বিষয় বাংলাদেশ তুলে ধরে।
মিয়ানমার পুলিশের আন্ত:সীমান্ত অপরাধ বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং হেটে মিন্ট জানান, “তারা [বিজিবি কর্মকর্তারা] এক ইঞ্চি জমি সন্ত্রাসীদের আশ্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হতে দেবে না বলে অঙ্গীকার করেছেন। তারা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করবেন বলেও আশ্বাস দেন।”
সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো সুয়ি উইনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
গত মাসে নেপিদোতে দুদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমার সরকার বলেছিল যে সন্দেহভাজন ৬৬জন আরসা সন্ত্রাসী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সম্মেলনেও আলোচনা হয়।
অন্যদিকে মিয়ানমার পক্ষ জানায়, বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। তবে, ওই সফরের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
সুয়ি উইন বলেন, বাংলাদেশে কত সংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে তা খতিয়ে দেখে তাদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে।
আবুল হোসেন বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখন বাংলাদেশের জন্য বোঝা। মিয়ানমার সরকার তাদের দেশে ফিরতে বাধা দিচ্ছে।
গত ২৪ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের ৩০টি পুলিশ পোস্টে একযোগে সন্ত্রাসী হামলার পর রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। দমন অভিযানের মুখে সোয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র: south asian monitor