Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গাদের ৪৫,০০০ একর জমির মালিকানা নিয়ে নিচ্ছে, কেটে নিচ্ছে ক্ষেতের পাকা ধান

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারে সামরিক অভিযানের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন যেসব রোহিঙ্গা মুসলমান তারা দেশে ফিরতে পারলেও তাদের জমিজমা ও ঘরবাড়ি হারাতে হতে পারে।

এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে রয়টার্স বলছে, মিয়ানমার সরকার পরিকল্পনা করছে যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেয়া হলেও তাদেরকে নিজেদের ঘরদোরে ফিরে যেতে দেওয়া হবে না।

কঠোর সনাক্তকরণের প্রক্রিয়ায় যেসব রোহিঙ্গা উতরাবে, শুধুমাত্র তাদেরকেই সরকারি ব্যবস্থাপনায় অন্যত্র গ্রাম তৈরি করে সেখানে পাঠানো হবে।

রয়টার্সের সাংবাদিকরা এ নিয়ে কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছেন। কিছু সরকারি পরিকল্পনার দলিলও তাদের হাতে এসেছে।

রয়টার্স জামিল আহমেদ নামের একজন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে এবং এই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে জমির মালিকানা প্রমাণ করার পরও হয়তো মি. আহমেদকে তার নিজের গ্রাম কিউক পান ডু গ্রামে ফিরে যেতে নাও দেয়া পারে।

শরণার্থীরা ফিরে এসে জমির মালিকানা দাবি করতে পারবে কি না, রয়টার্সের এই প্রশ্নে জবাবে রাখাইনের কৃষিমন্ত্রী চিয় লুইন বলেছেন, “এটা নির্ভর করে তাদের ওপর। যাদের নাগরিকত্ব নেই, তাদের জমির মালিকানা নেই।”

মিয়ানমারের নেত্রী অঙ সান সুচি বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন এমন কেউ যদি পরিচয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেন, তবে তাদের মিয়ানমারে ফেরত আসতে দেয়া হবে।

রয়টার্স রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং পুনর্বাসনের সাথে জড়িত ছয়জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছে যেখানে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে সরকারি নীতিমালার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।

মিয়ানমারের সরকারি পরিকল্পনার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, যারা মিয়ানমারে ফিরে আসবেন প্রাথমিকভাবে তাদের একটা অভ্যর্থনা কেন্দ্রে রাখা হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, এখানে শরণার্থীদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে যেখানে ১৬টি পয়েন্ট রয়েছে।

এরপর স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রাখা দলিলের মাধ্যমে এদের পরিচয় যাচাই করা হবে।

মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরের ওপর জরিপ চালিয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের ফটো তুলে রেখেছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

যেসব শরণার্থীর কাগজপত্র হারিয়ে গেছে, তাদের ছবির সাথে ইমিগ্রেশন বিভাগের ছবি মিলিয়ে দেখা হবে বলে বলছেন মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন এবং জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মিন্ট চায়ে।

 

সূত্র: বিবিসি

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন