মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ৫ মাস ধরে বিকল
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার একমাত্র ১০ শষ্যার হাসপাতালটি এখন সমস্যার আবর্তে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এতে জরুরী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৬০ হাজার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত জনপদ মানিকছড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ১০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি চলছে জরাজীর্ণ টিনসেড ভবনে।
খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন এ হাসপাতালটিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী রামগড়, লক্ষীছড়ি উপজেলার প্রত্যন্তাঞ্চলের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত রোগীরা যাতায়াত সুবিধার কারণে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভিড় জমায়। দৈনিক ৫’শ থেকে ৬’শ রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে ৪জন এমবিবিএস ও ২জন উপ-কমিউনিটি ডাক্তারকে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। হাসপাতালে রোগীদের জন্য মাত্র ১০টি বেড থাকার কারণে প্রতিদিন অসংখ্য রোগীকে মেঝেতে শুয়ে কিংবা সুদূর চট্টগ্রাম গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা, পারিবারিক বিরোধ, রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে হাসপাতালে আসা জরুরী
রোগীদের চরম দূর্ভোগের স্বীকার হয়ে মূমুর্ষূ অবস্থায় ৬৫ কি. মি. পাড়ি দিয়ে চট্রগ্রাম যেতে পথেই অনেকের মৃত্যু ঘটছে।
গত ৫ মাস ধরে একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল, হাসপাতালে উন্নতমানের এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে রোগীরা বাহিরে গিয়ে নিম্নমানের ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলার লেমুয়া এলাকা থেকে সন্তানসম্ভবা রোগী নিয়ে আসা মো. সোহাগ জানান, আমার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ডাক্তাররা তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালের এ্যম্বুলেন্সটি বিকল থাকায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বিকল্প পরিবহনে নিতে হচ্ছে।
এ্যাম্বুলেন্স চালক মো. জহির জানান, গত ১৭ আগস্ট ২০১৫ থেকে এ্যম্বুলেন্সটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গ্যারেজে পরে আছে। দেশের বাহির থেকে আনুমানিক দুই লক্ষ টাকার প্রয়োজনীয় মালামাল আসলে এ্যম্বুলেন্স সচল হবে।
মানিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন জানান, এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল থাকায় জরুরী রোগী নিয়ে নিয়মিত বিপাকে পড়তে হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, আশাকরি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।