মানিকছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

দুর্নীতি

এম. সাইফুর রহমান:

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, মানিকছড়ি থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার উপজেলায় সর্ব মোট ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণকে নানা অযুহাতে হয়রানি করে আসছে। বিদ্যালয়ের নামে বিভিন্ন সময় আসা বরাদ্ধ থেকে তাদের নামে কমিশন কেটে নেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, মানিকছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পের আওতায় সর্ব মোট ১৫টি স্কুলের নামের বরাদ্ধের টাকা হতে ৯৯ হাজার টাকা কমিশন কেটে নিয়েছে এই শিক্ষা অফিসাররা। জানা যায়, যোগ্যাছোলা, পান্নাকার্বারী, ওয়াকছড়ি, মলঙ্গীপাড়া, ওসমানপল্লী, মরাডলু, মংসী কার্বারীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ হয়। এছাড়াও গাড়ীটানা, ফকিরনালা, বড়বিল, চেম্প্রপাড়া, ভদংপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৩০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ আসলেও এ টাকা হতে টিও, এটিওর নামে ৫ হাজার টাকা করে কমিশন কেটে নিয়েছে শিক্ষা অফিস।

অন্যদিকে সদ্য নব নির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয় সাপুড়িয়াপাড়া, কুমারী বড়টিলা, মংসুইভুয়াং পাড়া ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ৩০হাজার টাকা করে বরাদ্ধ হলেও প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে কমিশন কাটা হয় ৮ হাজার টাকা।

কমিশন কাটার বিষয়ে কুমারী বড়টিলা বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল জব্বার অভিযোগ করে বলেন, কোথাও কমিশনের কথা উল্লেখ না থাকলেও ৮ হাজার টাকা করে কেটে নিয়েছে শিক্ষা অফিস।

সাপুরিয়াপাড়া বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল কালাম বলেন, দুর্নীতির আতুরে ঘর হলো মানিকছড়ি শিক্ষা অফিস। আমাদের স্কুলেন নামে বরাদ্ধের ৩০ হাজার টাকার মধ্যে ৮ হাজার টাকা করে টিও স্যারের কমশিন হিসেবে এটিও কে দিতে হয়েছে। এ বিষয়ে কেও প্রতিবাদ করলে গহীন জঙ্গলের স্কুলগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন এ শিক্ষা অফিসাররা।

মানিকছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জিতেন কুমার সেনকে দুর্নীতি ও কমিশনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি এইসব বিষয় কিছুই জানিনা, আমার নামে যদি কেউ কমিশন নিয়ে থাকে এটা তার ব্যাপার তবে আমি আরো খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। তবে অভিযোগটি মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, আমাদের অফিসে কেউ কোন প্রকার টাকা পয়সা কমিশন নেন না।

সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষিশ বড়ুয়াকে বরাদ্ধের টাকা ও ক্লাস্টারের টাকা হতে কমিশন কর্তনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি আপনার সাথে কমিশনের বিষয়ে কথা বলতে রাজি না আমার কর্তৃপক্ষ আছে ওনার সাথে এ বিষয়ে আলাপ করুন। আমার নামে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে আমার কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। তিনি বলেন, সরকার আমাকে কমিশন কাটার ক্ষমতা দেয় নাই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন