Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মানিকছড়ি ও রামগড়ে দুদক কর্মকর্তার পদচারণায় অফিস পাড়ায় তোলপাড়

duduk

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলায় সফরে অফিস পাড়ায় তোলপাড় চলছে। জনসেবা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভুল-ত্রুটি শুধরে নিতে মাঠে নেমেছেন জনপ্রতিনিধরা।

জানা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া গত ১৪ ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী, রোগী ও রোগীর আত্বীয় স্বজনের সাথে কথা বলে হাসপাতালটির বিভিন্ন বিষয়াদির খোঁজখবর নেন। তিনি এ সময় ল্যাব রুম, এক্স-রে রুম ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন।

পরে হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্যও প.প. কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুর ইসলামের সাথে মতবিনিময় কালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চেীধুরীও আকস্মিক হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন এবং তিনিও হাসপাতালের খোঁজখবর নেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, রামগড় উপজেলা পুলিশিং কমউিনিটির সভাপতি মংপ্রু চেীধুরী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. শাহআলম, মেডিকেল অফিসার ডা. রতন খীসা, ডা. বিজয় মজুমদার, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মাসুদ মামুন ও দুপ্রক সদস্যসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও রোগী আবদুর রহমান বলেন, এ ধরনের পরিদর্শন হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে সহায়ক হবে ও হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি কমে আসবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এর আগে সোমবার বিকালে উপজেলা গেষ্ট হাউজে দুদকের উপ-পরিচালক রামগড় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা ভাড়াতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। বিকাল সাড়ে ৩ টায় দুদক কর্মকর্তা মানিকছড়ি উপজেলায় আসেন এবং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এ সময় তিনিকমিটির সভাপতি মো. আতিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানসহ উপস্থিত সদস্যদের নিকট উপজেলায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন কর্তৃক জনসেবার মান সর্ম্পকে জানতে চান। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, যে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাবিটার বরাদ্ধ থেকে (১) উপজেলা পরিষদের পুকুর সংস্কার বাবদ ১০ মে.টন খাদ্যশষ্য (২) মার্কেট নির্মাণে আড়াই লক্ষ টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এডিবি’র বরাদ্ধে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মো. মাঈন উদ্দীনের বাড়ী- শহীদ চেয়ারম্যান এর বাড়ী পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ সর্ম্পকে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি অবগত কিনা জানতে চান। এক পর্যায়ে তিনি বিষয়টি সর্ম্পকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পি.আই.ও) নিকট জানতে চান। জবাবে পি.আই.ও মো. আবদুল জব্বার প্রকল্পের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুরোধে নেয়া প্রকল্প দু’টি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দু’টি প্রকল্প শেষ করা হবে।

এ খবর জনপ্রতিনিধিরা জানতে পেরে দ্রুত নড়েচড়ে বসেছেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ম্রাগ্য মারমা প্রকল্প চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন এবং দ্রুত কাজ শেষ করার সিদ্ধান্তে উপনিত হন।

এ বিষয়ে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিনিতা রানী বলেন, দু’টি  প্রকল্প(কাবিটার) গত অর্থবছরের এছাড়া এডিবি’র বরাদ্দটির(প্রজেক্ট) কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পগুলো সম্পর্কে পিআইও’র নিকট জানতে চাওয়া হয়েছে এবং এডিবি’র প্রকল্পের বিষয়ে কোন ক্রটি রয়েছে কিনা তা সরজমিনে তদন্ত করে দেখা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন