মানিকছড়িতে ৯ গরু সহ গরু চোরের গডফাদার আটক
মানিকছড়ি প্রতিনিধি:
মানিকছড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী গরু পাচারকারী মো. আবদুর রহমান (৫০) ওরফে রহমান কোম্পানীকে আটক করে পুলিশ।
মানিকছড়ি উপজেলার তৃণমূলে দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরির ঘটনা ঘটলেও চোরচক্ররা ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে! ফলে উপজেলার গচ্ছাবিল, চেঙ্গুছড়া, ডাইনছড়ি, কালাপানি, যোগ্যাছোলা ও বাটনাতলীতে গরু চুরির ঘটনা বেড়েই চলছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তৃণমূলে দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরির ঘটনায় গচ্ছাবিল, চেঙ্গুছড়া, ডাইনছড়ি, কালাপানি, যোগ্যাছোলা ও বাটনাতলী এলাকায় প্রতিনিয়ত গরু চুরির ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু অপরাধীকে কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। ফলে অধরাই থেকে গেছে চোরচক্র! সম্প্রতি গচ্ছাবিলের জামতলীর মৃতু. সিরাজ উদ্দীন এর ছেলে মো. আলী আকবরের ৪টি গরু চুরি হয়। ফলে ভুক্তভোগী আলী আকবর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ঘটনাটিকে আমলে নিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের প্রতি নজরদারী বৃদ্ধি করলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ সালদা গ্রামের গহীণ অরণের একটি খামার বাড়িতে একাধিক গরুর সন্ধান পায়। ফলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই খামারবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী গরু পাচারকারী মো. আবদুর রহমান (৫০) ওরফে রহমান কোম্পানী ও তার সহযোগি মো.রফিক (৪০)কে ৯টি গরুসহ আটক করে।
আটক ব্যক্তিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে গরুর মালিকানা কিংবা গরু ক্রয়ের কোনো প্রমাণ তারা পুলিশকে দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে তাদের বিরুদ্ধে চুরির ধারা ৩৮০,৩৮৬ মূলে মামলা রের্কড করা হয়। মামলা নং ৩,তারিখ ২৮.৯.২০১৮ খ্রি.। আটক ব্যক্তিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মানিকছড়ি থানার এস.আই এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল কাদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গরু চুরির ঘটনার একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সোর্স নিয়োগ পূর্বক সন্দেহভাজন গরু ব্যবসায়ীদের ওপর নজরদারী করতে গিয়ে প্রত্যন্ত জনপদ সালদা গ্রামে রহমান কোম্পানীর খামারবাড়ীতে হাতে-নাতে গরুসহ তাদের আটক করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর আটক ব্যক্তিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে।
এদিকে আটক মো. আবদুর রহমান (৫০)ওরফে রহমান কোম্পানীর সাম্প্রতিক উত্থান নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে জনপদে। এলাকার নিরীহ লোকজন বলছে আটক ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে একজন ভূমিদস্যু ও চোর । মানিকছড়ি-রামগড় সীমান্ত জনপদে তার শতাধিক একর টিলা ভূমি রয়েছে। এসব পাহাড়ে খামারবাড়ী বানিয়ে সে চুরি, নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। ইতোপূর্বে একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় লোকালয়ে তার বিরুদ্ধে বিচার-সালিস হয়েছে। টাকার প্রভাবে তার অপকর্মগুলো স্থানীয়ভাবে সমাধান হলেও এবার চুরির ঘটনায় শেষ পর্যন্ত সে ফেঁসে(প্রমানিত) যাবে।