মানিকছড়িতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী  

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়া বাঁশুরী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আক্তার এর  বিয়ের আয়োজন ভেঙ্গে দিয়েছে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। ফলে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল কিশোরী জেসমিন আক্তার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার ওসমান পল্লীর অধিবাসী মো. মমতাজ উদ্দীন ওরফে মমতাজ ভাণ্ডারীর ৪র্থ কন্যা (সদ্য এস.এস.সি পরীক্ষা দেয়া)নূর জাহান বেগম(১৬) বিয়ে ঠিক হয় চট্টগ্রাম জেলার আমানবাজার অধিবাসী আবদুল খালেকের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম(২৫)এর সাথে।

৯ মার্চ কনের পিত্রালয়ে বিয়ের আয়োজন। দু’পক্ষের দাওয়াতী কাজ-কর্ম শেষ। ৮ মার্চ মেহেদী অনুষ্ঠানের আগেই কন্যা প্রেমিকের হাত ধরে উধাও! প্রেমিক-প্রেমিকা কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করে পালিয়ে যায়। এতে কন্যার পরিবারে নেমে আসে হতাশা। কোন উপায় না পেয়ে পরিকল্পনা করেন স্কুল পড়ুয়া (ছোট মেয়ে) জেসমিন আক্তার (১৪)কে বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা রক্ষার।

ফলে সব আয়োজন ঠিকঠাক। ৯ মার্চ দুপুরে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বর হাজির। কিন্তু এর আগেই স্কুল পড়ুয়া জেসমিন আক্তার বিয়ে ঠেকাতে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করে রাখেন। বর ও কনে পক্ষের অতিথিদের খাওয়া-দাওয়া চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার( অ.দা) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট রুবাইয়া আফরোজ ও অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির। ভেস্তে যায় অভিভাবকের পরিকল্পনা!

এ খবর পেয়ে অনুষ্ঠান স্থলে ছুঁটে আসেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেত্রী নূরনাহার বেগম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিয়ের কূফল সর্ম্পকে বুঝানোর পর এবং কনের বড় বোনের ঘটনা জানার পর উপজেলা অফিসার(অ.দা) রুবাইয়া আফরোজ অভিভাবকের মুচলেকা নিয়ে বাল্যবিয়ে সব আয়োজন ভেঙ্গে দেন।

ফলে বাল্যবিয়ের কূফল থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী জেসমিন আক্তার। বাল্যবিয়ের কূফল এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধের খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশে-পাশে। উপস্থিত সবাই বাল্যবিয়ে বন্ধ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন