মানিকছড়িতে নান্দনিক যাত্রী ছাউনি ‘বাগানবিলাস’

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা :

ছাদের উপরে সোলার প্যানেল আর সবুজে মোড়ানো ফুলের বাগান। দুই পাশে থাই গ্লাসে মোড়ানো জানালা। পেছনের অংশে থাকবে দেয়ালচিত্র। অপেক্ষমানদের বসার জন্য থাকবে ভিন্ন আকৃতির স্টিলের বেঞ্চ। বাগানবিলাসের চারপাশে পরিকল্পিত ফুলের বাগান। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মানিকছড়িতে নির্মিত হচ্ছে নান্দনিক এ যাত্রী ছাউনি। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘বাগানবিলাস’।

মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান উদ্দীন মুরাদ‘র এ পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নকশায তৈরি হচ্ছে গতানুগতিক ধারার বাইরে নান্দনিক এ ‘বাগানবিলাস যাত্রী ছাউনি’।

লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি-৩) অর্থায়নে মানিকছড়ি গিরীমৈত্রী কলেজের পাশে গচ্ছাবিল এলাকায় নির্মিত ‘বাগানবিলাস যাত্রী ছাউনি’ দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করছে মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ। গতানুগতিক ধারার বাইরে দৃষ্টিনন্দন এ যাত্রী ছাউনি নির্মাণকে পরিবর্তনের অংশ হিসেবেই দেখছেন মানিকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ফারুক।

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশেই গচ্ছাবিল এলাকায় যাত্রী ছাউনির নির্মাণ কাজে ব্যস্ত কয়েকজন শ্রমিক। রাজমিস্ত্রী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, নকশা অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট হলেও এমন নান্দনিক কাজের স্বাক্ষী হতে পেরে ভালো লাগছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে অবকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

যাত্রী ছাউনিতে অপেক্ষমানদের সুবিধার্থেই সেখানে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। আর সবুজে মোড়ানো ফুলের বাগান অপেক্ষমানদের শীতল রাখার পাশাপাশি যাত্রী ছাউনিকে নান্দনিক দেখাবে বলে জানান মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান উদ্দীন মুরাদ। এসব নান্দনিক কাজে প্রশিক্ষিত শ্রমিকের অভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, দক্ষতা যাছাইয়ের টেস্ট কেস হিসেবে বাস্তবায়নাধীন প্যাসেঞ্জার শেডটি বিদ্যমান ডিজাইনকে লোকাল প্রকৌশলী দ্বারা কিছুটা কাস্টমাইজড করা হয়েছে।

গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে ‘বাগানবিলাস যাত্রী ছাউনি’ নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আহসান উদদীন মুরাদ বলেন, পাহাড়ের সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপুর্ণ স্থানে ভিন্ন ডিজাইনের আরো চারটি নান্দনিক যাত্রী ছাউনি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যার সবকটিই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর স্থাপত্য বিভাগ ডিজাইন করবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন