মানিকছড়িতে এক সপ্তাহে বিএনপি’র তিনহাজার নেতাকর্মী আ’লীগে যোগদান

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বক্ষণেও মানিকছড়ির বিএনপি নেতাকর্মীরা দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে। ফলে এ মুহুর্ত্বে এখানকার বিএনপি সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, প্রচারণায় হামলা ও নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার আসামি হয়ে সিনিয়র নেতাকর্মীরা ধরপাকড় এড়াতে আত্মগোপনে থাকা এবং দলের হাজারো নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান অব্যাহত থাকায় নির্বাচনী মাঠে বিএনপি শুন্যঅবস্থা বিরাজ করছে।

ফলে ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিএনপি। নির্বাচনী মাঠ ঘুরে এবং দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এবার সেখানে আওয়ামী লীগে হাওয়া লেগেছে। দীর্ঘদিন বিএনপি শিবিরে দলীয় কোন্দল, গ্রুপিং থাকলেও অতীতে এভাবে গণহারে বিএনপি ছাড়েনি নেতাকর্মীরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শুরুতে এখানে আওয়ামী লীগ উপজেলা অফিসের সামনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এর পর আওয়ামী লীগের প্রচারণায় হামলা ও সর্বশেষ গত ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নির্বাচনী অফিসে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। এসব ঘটনা বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘটিয়েছে মর্মে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ। ফলে তিনটি ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলায় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলার আসামিরা ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছেন। তবে পুলিশি হয়রানীর ভয়ে সবাই আত্মগোপনে থেকে কাজ করছেন।

এছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। এছাড়া মামলা ও পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে নেতাশুন্য জনপদে বিএনপি’র সাধারণ কর্মী সমর্থকরা এখন ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে ১৬ কেন্দ্রের ৮৩টি বুথে এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে বিএনপি। সর্বশেষ ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দেড়শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবুল হক বাহার বলেন, সরকার দলীয় লোকজনের ভয়-ভীতি, পুলিশি হয়রানী, মামলা-হামলা এবং বিএনপিমনা স্বার্থবাদীরা দুঃসময়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বিএনপির লোকজনের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি চালাচ্ছে। ফলে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় কেউই আসছেনা। যদি প্রশাসন ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে আসতে এবং নির্ভয়ে ভোট দিতে সহায়তা করে তাহলে নিরব ভোট বিপ্লব প্রত্যাশা করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন