মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে দুর্ণীতি তদন্তের উদ্যোগ দুদকের

Sonadia-island
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের সব চেয়ে বড় মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছে দুদক এর চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক এর চট্রগাম বিভাগীয় পরিচালক আব্দুল আজিজ ভুইয়া।

তিনি বলেন, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে দুর্ণীতি ও অনিয়ম নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় দূর্ণীতি দমন কমিশন এ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তের অনুমতি চেয়ে সোমবার দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান অনুমতি দেয়ার পরপরই তদন্তের কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ইতিপুর্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় বৃহৎ প্রকল্পের জন্য চিংড়ি চাষ ও ঘেরের জমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর প্রক্রিয়া। তবে লবণ মাঠ কিংবা কৃষিজমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়। একই সাথে জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুম দখল শাখার দ্বয়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরেফিন আকতার নুরকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ পদে নতুন ভাবে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ভুমি অফিসার এম এম মাহমুদুর রহমান।

স্থানীয়দের দাবি, শুধু চিংড়ি চাষ ও ঘেরের জমি নয়, সব ধরনের জমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু স্থানীয়দের এ দাবী প্রশাসন উপেক্ষা করে কার্যক্রম চালু রাখে।

জানা যায়, মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখান থেকে ৪০ কোটি টাকা এরই মধ্যে বিতরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানে ২৩ কোটি টাকার জালিয়াতি ধরা পড়েছে এতে। আর এ টাকা আদায়ে ২১ জনের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত না করে জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুম দখল শাখার সাবেক প্রধান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, কানুনগো আবদুল কাদের, সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে, যা রহস্যজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন