মাতামুহুরীর ভাঙ্গনে লামা পৌরসভার সড়ক অবকাঠামো ও জনবসতি বিলীন হচ্ছে
লামা প্রতিনিধি:
মাতামুহুরী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে লামা পৌরসভার সড়ক, অবকাঠামোসহ জনবসতি। চলতি বর্ষায় প্রবল বর্ষণে মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী পাড়ের বসতিগুলোর অধিবাসীরা ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে। ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক, জনবসতি ও শতাধিক বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
লামা পৌরসভার শিলেরতুয়া মার্মা পাড়া, হরিণঝিরি, ছাগলখাইয়া, সাবেক বিলছড়ি, লামা বাজারের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাজার পাড়া, স’মিল এলাকা, হাসপাতাল পাড়া শশ্মান এলাকায় চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। সাবেক বিলছড়ির অধিবাসী মো. জাহেদ হাসান ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন জানান, ভাঙ্গনের কারণে সাবেক বিলছড়ি গ্রাম বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গনে চলতি বছর ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সদ্য মেরামত করা সাবেক বিলছড়ি সড়কের প্রায় ১শ ফুট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া প্রবল বর্ষণের কারণে সদ্য নির্মিত লামা বাজার-মেরাখোলা সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম জানান, বর্ষণের কারণে নদী পাড়া সংলগ্ন সড়ক ও স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত বছরে মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু কোন প্রকল্প এখনো গ্রহণ করা হয়নি। একসাথে তিন দিক থেকে মাতামুহুরীর ভাঙ্গনে লামা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
লামা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইসমাইল জানান, লামা পৌরসভার নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বাস্তবায়ন হয়নি।
নদী ভাঙ্গন রোধের বিষয়ে বক্তব্য গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে একজন প্রকৌশলীকে বারবার কল দেওয়ার পরও তিনি কল রিসিভ করেননি।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি জানিয়েছেন, নদী ভাঙ্গন রোধের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের।