মাতামুহুরীর চরে প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর জেগে উঠা চরে প্রতিমা বির্জসন অনুষ্ঠানকে ঘিরে লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল।

শুক্রবার (১৯অক্টোবর) বিকেলে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে নদীর চরে ঢল নামে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের। নদীতে প্রতিমা বির্সজনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে শারদীয়া দুর্গোৎসবের। এতে শুধুমাত্র সনাতন সম্প্রদায় নয়। মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ভাগাভাগি করে এ আনন্দ। এভাবেই শারদীয়া দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে চকরিয়ায়।

প্রতিমা বিসর্জন পূর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বিএ (অনার্স) এমএ বলেন, বিসর্জন অনুষ্ঠান শুধু একটি ধর্মের লোকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তার প্রমাণ মাতামুহুরীর চরে উপস্থিত বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার নারী-পুরুষের আগমন। এই উৎসব আগামীতে আরও ব্যাপকতা পেয়ে মহামিলন মেলায় পরিণত হবে।

এদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এ অনুষ্ঠানে এসে দেখা গেছে এটি এখন সকল সম্প্রদায়ের মিলনের উৎস। চকরিয়া দুর্গা মায়ের প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রদীপ কান্তি দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল বিহারী নাথের সঞ্চলানায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান, কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, চকরিয়া পৌরসভা ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম, চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরিমন্দির উপদেষ্টা ডা. তেজেন্দ্র লাল দে, ধনরঞ্জন দাশ, নন্দরাম ধর।

উপজেলার ১৭টি মন্ডপ থেকে প্রতিমা আনা হয়। বিসর্জন পূর্বে চট্টলার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী পপি ও প্রিয়ন্তি গানের তালে পুজারীরা নাচেন এবং একে অপরকে রং মাখিয়ে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে মেতে উঠেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয় মাতামুহুরী নদীতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন