মাটিরাঙ্গায় বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উপলক্ষে লোকজ মেলা শুরু

সিনিয়র রিপোর্টার:

শুরু হয়েছে হিন্দুদের চৈত্র সংক্রান্তির, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিঝুর মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের প্রাণের উৎসব বৈসাবি‘র আনুষ্ঠানিকতা। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার উপজেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেল নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বেলুন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে ৪ দিন ব্যাপী লোকজ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি কংজরী চৌধুরী চেয়ারম্যান খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
¬
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দু’দিন এবং বাংলা বছরের প্রথম দিনটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য ১৩টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভিন্ন ভাষাভাষি জাতিসত্ত্বা তাদের ঐহিত্যবাহী উৎসব পালন করে আসছে। হিন্দুদের চৈত্র সংক্রান্তির, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই, চাকমাদের বিঝু তিন দিনের প্রথাগত সাংস্কৃতিক ও আচার অনুষ্ঠান চলে সপ্তাহ ধরে।

তিনি বলেন, পাহাড়ে মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ভ্রাতুত্বের বন্ধনে পুরানো বছরের কালিমা এবং নতুন বছরের শুভ কামনায় নতুন বার্তা নিয়ে পাহাড়ী পল্লীগুলো মেতে উঠে আনন্দ উচ্ছ্বাসে। এক কথায় পাহাড়ের প্রতিটি ঘরের আঙ্গিনায় উৎসব আর উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মেলা উৎযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরুল কায়েস। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিল্লুর রহমান মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর আলম, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন প্রমূখ।

বাংলা নববর্ষ ও বৈসাবির ৪ দিনব্যাপী এই মেলা আগামী শুরুবার শেষ হওয়ার কথা বলেছে মেলা উৎযাপন কমিটি। মেলে উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যামন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।