মাটিরাঙ্গায় কালোবাজারে বিক্রির সময় ট্রাকসহ গুচ্ছগ্রামের খয়রাতি রেশন আটক

09.05.2014_Matiranga GUCCHAGRAM RESON NEWS Pic

মাটিরাঙ্গা সংবাদদাতা :

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার খেদাছড়া গুচ্ছগ্রামের এপ্রিল-মে-জুন মাসের বরাদ্ধকৃত খয়রাতি রেশন কালোবাজারে বিক্রির সময় ট্রাক আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। মাটিরাঙ্গা থানার এস আই হিমেল বড়ুয়া ও ওয়ারলেস অপারেটর মাহবুব হাতেনাতে খাদ্যশস্য ভর্তি ট্রাকটি মাটিরাঙ্গা বাজার থেকে আটক করে। সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
 

জানা গেছে, খেদাছড়া গুচ্ছগ্রামের এপ্রিল-মে-জুন মাসের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য ১১, ১২ ও ১৩ মে বিতরণের জন্য নির্ধারিত থাকলেও তার দুইদিন আগে সোমবার বিকালে গুইমারা খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে খেদাছড়া গুচ্ছগ্রামে না নিয়ে উক্ত খাদ্যশস্য মাটিরাঙ্গা বাজারের খাদ্য ব্যবসায়ী মো: আবদুল জলিলের কাছে বিক্রি করেন গুচ্ছগ্রামের চতুর প্রকল্প চেয়ারম্যান মো: আবু বকর ছিদ্দিক।

সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে খাদ্যশস্য ভর্তি ট্রাকটি খাদ্য ব্যবসায়ী মো: আবদুল জলিলের মাটিরাঙ্গা বাজারের নিজস্ব গুদামে আনলোড করার সময় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ ট্রাকটি আটক করে। ট্রাকে আনুমানিক ১৫ মে.টন খাদ্যশস্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে খাদ্য ব্যবসায়ী মো: আবদুল জলিল ও ট্রাক চালক পলাতক রয়েছে। তবে খাদ্য ব্যবসায়ী মো: আবদুল জলিলের ব্যবসায়িক পার্টনার মো: আতিকুর রহমানকে আটক করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।

বিষয়টি জানাজানি হলে মাটিরাঙ্গায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এদিকে গুচ্ছগ্রামের খাদ্যশস্য ভর্তি ট্রাকটি আটকের পর থেকেই আটক খাদ্যশস্য ছাড়িয়ে নিতে আওয়ামীলীগ নেতা কালাচান বণিক ও বিএনপি নেতা মো: নুরুল আমিন নুরু দেন দরবার করছেন বলে সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র দাবী করেছে।

এর আগে একই কায়দায় মার্চ মাসের শেষ দিকে পুরান বড়নাল গুচ্ছগ্রামের দুই মাসের বরাদ্দকৃত খয়রাতি রেশন বিক্রি করেন গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান মো: বশির আহাম্মদ। সেসময় তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারই ধারাবাহিকতায় খেদাছড়া গুচ্ছগ্রামের চতুর প্রকল্প চেয়ারম্যান মো: আবু বকর ছিদ্দিক খয়রাতি রেশন জনগণের মাঝে বিতরণ না করে কালোবাজারে বিক্রি করেন।

এদিকে যোগাযোগ করা হলে খেদাছড়া গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান মো: আবু বকর ছিদ্দিক অভিযোগ অস্বীকার করেন। প্রকল্প চেয়ারম্যান মো: আবু বকর ছিদ্দিক অভিযোগ অস্বীকার করায় ট্রাকভর্তি খাদ্যশস্য কার এমন প্রশ্ন তুলেছে সচেতন মহল। তাদের মতে, কেন পালালো ট্রাক চালক ও খাদ্য ব্যবসায়ী আবদুল জলিল।

এদিকে এ বিষয়ে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. মোহাম্মদ মাহে আলম। মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাঈন উদ্দিন খান খাদ্যশষ্য ভর্তি ট্রাকটি আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন খাদ্যশস্য ভর্তি ট্রাকটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন