মাটিরাঙ্গার লজ্জাবতী বানরটি এখন মুক্তভাবে চলাচল করছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া সেই ‘লজ্জাবতী বানর’টি এখন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ‘লজ্জাবতী বানর’টিকে পার্কে অবমুক্ত করেন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জার একেএম মোরশেদুল আলম। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ফরেষ্টার মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বানটিকে অবমুক্ত করার আগে প্রয়োজনীয় ডাক্তারী পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান।
লজ্জাবতী বানর একটি সংকটাপন্ন প্রানী উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জার একেএম মোরশেদুল আলম বলেন, এক সময় এটি প্রচুর পরিমানে থাকলেও বর্তমানে নানা প্রতিকুলতায় তা আজ বিলুপ্ত প্রায়। তিনি বানরটি স্কুল ছাত্রদরে কাছ থেকে উদ্ধার করে ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রেরনের জন্য মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার সময়োচিত ও দ্রুত পদক্ষেপের কারণে বিলুপ্তপ্রায় লজ্জাবতী বানরটি রক্ষা করা সম্ভব হলো। ইউএনও‘র এ কাজকে অনন্য দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি এ ধরনের বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী রক্ষায় সমাজের সকলের প্রতি আহবান জানান।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য বিগত ২৪ আগষ্ট (শনিবার) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার উপজেলার প্রত্যন্ত বামাগোমতি এলাকার স্কুল ফেরত শিক্ষার্থীরা লজ্জাবতী বানরটি ধরে। পরে খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান লজ্জাবতী বানরটি উদ্ধার করে নিজের হেফাজতে রাখেন এবং গত সোমবার (২৯ আগষ্ট) ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে অবমুক্ত করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ অফিসার মো. ইসমাইল হোসেনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বানরটি হস্তান্তর করেন।