মাটিরাঙায় প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

16467227_1256930881067863_1933208440_n copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাবেয়া বেগম (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে মাটিরাঙার আমতলী ইউনিয়নের চৌদ্দগ্রাম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তার স্বামী মো. শাহজাহান দুবাই প্রবাসী। নিহত রাবেয়া বেগম চৌদ্দগ্রাম পাড়ার আইয়ুব আলীর মেয়ে এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পুর্বে রাবেয়া বেগমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন চৌদ্দগ্রাম পাড়ার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মো. শাহজাহান। বিয়ের পর বিবাহিত জীবন সুখে কাটলেও দুবাই প্রবাসী মো. শাহজাহানের বড় ভাই মো. আবদুল মতিনের সাথে নানা বিষয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

আমতলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার সনজীব শর্মা জানান, রাত দুইটার দিকে রাবেয়া বেগমের এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতেও নিজ ঘরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন রাবেয়া বেগম। গভীর রাতে হত্যাকারীরা তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধারালো অস্ত্র এলাপাতারীভাবে কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে। হত্যাকারীরা তাকে পেরাগ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুচিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।

নিহত রাবেয়া বেগমের বাবা মো. আইয়ুব আলী তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে মো. শাহজাহানের বড় ভাই মো. আবদুল মতিনের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে বহিরাগত লোকজন দিয়ে গভীর রাতে তার মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতারি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান নিহতের বাবা মো. আইয়ুব আলী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন