মাছের গাড়ী আটকে পুলিশের লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়িতে পুলিশের বিরুদ্ধে মাছের গাড়ী আটকে রেখে ব্যবসায়ীদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে বুধবার সকালে প্রায় এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার কাপ্তাই লেক থেকে ধরা ১৭৯৫ কেজি মাছ নিয়ে রাত দেড়টার দিকে বিক্রির জন্যে ফেনী ও চট্টগ্রামের হাটহাজারির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে খাগড়াছড়ির জিরো মাইল চেকপোস্টে পৌঁছালে মাছের গাড়িগুলো আটকে দেয় পুলিশ।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে চেকপোস্টে ডিওটিরত এটি এসআই মো. রাশেদুজ্জামান। মূলত, কাপ্তাই লেকে মাছের মৌসুম বছরে নয় মাস। আর এই নয় মাস ব্যবসা করতে হলে পুলিশকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে, অন্যথায় মাছের গাড়ি যেতে দেয়া হবেনা বলে ব্যবসায়ীদের জানায় এটি এসআই রাশেদুজ্জামান।
এদিকে নিয়মিত সরকারি রাজস্ব দেয়ার পরও পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদা দাবী করায় সকালে জিরোমাইল সড়কে তাৎক্ষনিক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ব্যবসায়ীরা। অবরোধ করে রাখা হয় চৌরাস্তার মোড়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা। প্রায় একঘন্টা অবরোধের পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী আবুল খায়ের ও সাঈদুর রহমান অভিযোগ করেন, পুলিশের সাথে চাঁদার ব্যাপারে সুরাহা না করায় রাত ২টা থেকে সকাল পর্যন্ত মাছের গাড়িগুলো আটকে রেখেছে। ফলে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তারা বলেন, প্রায়শই পুলিশের এমন হয়রানীর শিকার হতে হয় তাদের। গাড়ি থামিয়ে চাঁদা দাবী করেন চেকপোস্টে ডিওটিরত পুলিশ কর্মকর্তারা।
তবে চাঁদা দাবীর বিষয়টি অস্বীকার করেছে জিরোমাইল চেকপোস্টে ডিওটিরত অফিসার এটি আই মো. রাশেদুজ্জামান। তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই রাতে গাড়িগুলো যেতে দেয়া হয়নি।
এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবীর অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন। তিনি বলেন, তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।