মহেশখালী জেটিঘাটের বেহাল দশা দেখার কেউ নেই

mohesh khali pic 19-4-16

মহেশখালী প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগর পরিবেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার উৎপাদিত লবণ, পান, চিংড়ী জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কিন্তু বিগত সরকারগুলো বারেবারে মহেশখালী উপজেলাকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখার কারণে কাঙ্ক্ষিত অবকাঠামো উন্নয়নসহ শিক্ষাদীক্ষায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মহেশখালী দ্বীপবাসী অবকাঠামো উন্নয়ন, লবণ আমদানী বন্ধকরণ, শিক্ষাদীক্ষার প্রসার, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নসহ দু’টি বৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদি ঘোষিত উন্নয়ন কর্মসূচী দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।

মহেশখালীবাসী এসকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্বতস্ফুর্তভাবে শরিক হয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধাঁ সৃষ্টি না করে একটি সমৃদ্ধশালী দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী স্বপ্নের রূপরেখাকে বাস্তবে প্রতিফলন প্রত্যক্ষ করছে।

তবে জেলা সদরের সাথে মহেশখালী উপজেলার যোগাযোগ ও সংযোগ স্থাপনের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ফেরি পারাপার জেটিঘাট। উক্ত জেটিঘাট দিয়ে মহেশখালীর চার লক্ষ জনগণ বিভিন্ন কাজে কক্সবাজার সদরে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু কিছু সংখ্যক লুটেরা, মুনাফাখোরদের প্রবল অত্যচার ও নির্যাতনের কারণে মহেশখালীবাসী জেলা সদরের সাথে দৈনন্দিন যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশাল বাধা হিসাবে দেখছেন।

সামুদ্রিক জোয়ারের সময় মহেশখালী জেটিঘাট দিয়ে কোন মতে যাতায়ত করতে পারলে ও ভাটার সময় যাতায়াত করা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এমনকি নারী পুরুষ যাত্রী সাধরণকে ভাটার সময় এক কিলোমিটার পথ পানি ও কাঁদা মাটির মধ্যে হেটে জরাজীর্ণ কাঠের বোট কিংবা ষ্পীড বোটে উঠে কক্সবাজার শহরে যেতে হয়।

কিন্তু কক্সবাজার শহরের ৬নং জেটিঘাটের ও একই অবস্থা। সেখানেও কাঁদা মাটি ও পানির মধ্যে হেঁটে যাত্রী সাধারণকে শহরে পৌঁছতে হয়। তার উপর অবৈধ ও অনৈতিকভাবে যাত্রী সাধারণ ও হাতে থাকা মালামালের উপর জোরপূর্বক টোল আদায়ের প্রতিযোগিতা চলে।

 মহেশখালীর জনগণ মারাত্মক দূর্দশার মধ্যে দিনতিপাত করছে। কিন্তু সুবিধাভোগী মুনাফাখোরদের দৌরাত্মের কারণে সাধারণ জনগণ অসহায় ও নির্যাতিত।

এই পরিস্থিতিতে ঘোষিত এবং বাস্তবায়নাধীন সমস্ত মেগা প্রকল্পগুলোর প্রতি মহেশখালীর সাধারণ জনগণের আকুন্ঠ সমর্থনের প্রতি একটু দৃষ্টি নিবদ্ধ করে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমকে সহজকরণ, কাঙ্ক্ষিত সেবা না দিয়ে জেটিঘাটে অবৈধভাবে অাদায়কৃত টোল সমূহ বন্ধ ও উভয় পারের জেটিঘাটের সমস্যা সমাধান করে নাগরিক জীবনে স্বস্তি আনায়নে কার্যকর ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ, জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম জেটিঘাট ও ফেরি পারাপার আধুনিক উন্নয়ন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মহাখালীবাসী সরকার, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সদয় উদ্যোগ কামনা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন