মহেশখালী দ্বীপের শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু তাহের গ্রেপ্তার
মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার বহুল আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু তাহের গাওয়্যা অবশেষে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তা হয়েছে। দীর্ঘদিন মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালীসহ বিভিন্ন এলাকার জনপদের আতংকের নাম ছিল গাওয়্যা বাহিনী। জলদস্যু থেকে বনদস্যু, দেশীয় তৈরী অস্ত্রের চোরাচালান, সড়ক ডাকাতি, মাদক ব্যবসায়ী, লবণ মাঠ দখল, পানের বরজ লুঠসহ এমন কয়েক ডজন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি বড় মহেশখালী ইউপি নির্বাচনে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের মত ঘটনার অন্যতম আসামী গাওয়্যা বাহিনীর প্রধান আবু তাহের গাওয়্যা। অবশেষে এই গাওয়্যাকে মহেশখালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করায় নিরীহ জনগণের মাঝে স্বাধীন ভাবে চলাপেরার স্বস্তি এসেছে।
কক্সবাজার জেলার বহুল সমালোচিত ঘটনা, বড় মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ বাদশার ভাতিজা তৎকালীন ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নুরুল আবছারকে দিবালোকে চোখ উৎপাঠন ও হাত পায়ের রগ কর্তন করে চিরতরে পঙ্গুত্ব করার ঘটনার প্রধান আসামী এই আবু তাহের গাওয়্যা।
গাওয়া বাহিনীর হাতে দীর্ঘদিন জিম্মি ছিল বড় মহেশখালীর ফকিরাঘোনা, আমতলী ফকিরাকাটা, মগরিয়া কাটা, বড় ডেইল, শুকুরিয়া পাড়া এলাকা লোক জন। শুধু তাই নয় মাহারা পাড়া, মিয়াজির পাড়া, মনুমিয়া সিকদার পাড়া, দেবাঙ্গা পাড়া, মুন্সির ডেইল, মাঝের ডেইল, গুলগুলিয়া পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ। এই বাহিনীকে চাঁদা না দিয়ে কেউ এলাকায় নিস্তার থাকতে পারিনি।
এছাড়াও গাওয়া বাহিনী নোয়াঘোনা, হারিঘোনা, আইল্যাঘোনা, বড়দিয়া, ফারিকুল, ইছাখালী, গুলুব্বর ঘোনাসহ পশ্চিমে অবস্থিত সকল চিংড়ী ঘেরে চাঁদাবাজি, ডাকাতি, লুঠপাটের কাজেও জড়িত ছিল বলে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
মহেশখালী থানার এসআই ফজলুল কাদের পাঠোয়ারী, এসআই শাওন দাশ, এএসআই শাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রোববার দুপুর ১টায় অভিযান চালিয়ে বড় মহেশখালীর রাস্তার মাথা বাজার এলাকার আস্তানা থেকে আবু তাহের গাওয়্যাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশের সাথে তার বাহিনীর লোজনের গুলি বিনিময় হয় বলে জানা গেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, আবু তাহের গাওয়্যাকে রিমাণ্ডে নেয়া হলে বভিন্ন হত্যাকাণ্ডসহ গোপন বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এই ব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক বলেন, মহেশখালী দ্বীপকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে এলাকার জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।