মহেশখালীতে হঠাৎ করে প্রাকৃতির তান্ডব, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও বজ্রপাতে শিশু নিহত
মহেশখালী প্রতিনিধি:
আকাশে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া বইছে। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেছে চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। ঝরছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। হঠাৎ বাতাসের তীব্রতায় গ্রামীণ জনপদের গাছপালা ভেঙে পড়ছে। বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হয়ে গেছে। থেমে গেছে পথচারীদের চলাচল।
সকাল থেকে মহেশখালী প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনও তেমন চলছে না। দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে।
কালারমারছড়ার বাসিন্দা রবিউল জানিয়েছে, হঠাৎ বাতাসের কারণে তাদের বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা ভেঙে গেছে। গ্রামীণ মেঠো পথে পানি জমেছে। বাতাসের তীব্রতার কারণে কর্মমুখী মানুষগুলো ঘরে ফিরে গেছে।
হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টির কারণে মানুষের চলাচল স্তিমিত হয়ে যায়। রিক্সা, টমটম, সিএনজিসহ আভ্যন্তরীণ সড়কে চলাচলরত ছোটখাটো যানবাহনগুলো চলছে না। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত এমন অবস্থা দেখা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লবণের মাঠ মিষ্টি পানের বরজের
জানা গেছে মৌসুমী বায়ু আধা ঘন্টার বাতাসে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক, শাপলাপুর, কালারমারছড়া, ছোট মহেশখালী, বড় মহেশখালী ইউনিয়নে পানের বরজ লবণ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয় যা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে হোয়ানক বড় ছড়া গ্রামের পান চাষী আব্দুল মালেক,শামশুল আলম, শরিফসহ অনেকের পানের বরজ মাটিতে পড়ে গেছে। মাতারবাড়ীতে বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটি কুটির ঘর বাতাসে উপড়ে গেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
মাতারবাড়ীর চেয়ারম্যান মাস্টার মো. উল্লাহ বলেন, হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াতে আমার এলাকার কয়েকটি বাড়ি উপড়ে গেছে বলে শুনেছি। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বজ্রপাতে কেড়ে নিয়েছে এক শিশুর প্রাণ। নিহত শিশুর নাম মোহাম্মদ রাজিব (১১)। নিহত শিশু হোয়ানক কেরুনতলী এলাকার মফিজুল আলম সন্তান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিশুটি লবণের মাঠে যাওয়ার সময় মইগ্যাঘোনা নামক স্থানে বজ্রপাতে আহত হয়ে মারা যায়।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ দমকা হাওয়ায় মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হোয়ানক কেরুনতলী এলাকায় বজ্রপাতে এক শিশুর নিহত হয়েছে বলে শুনেছি।