মহেশখালীতে পুলিশের সাথে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্ত্রাসী নিহত
মহেশখালী প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও হোয়ানকে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের পৃথক দু’টি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ১১ জন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। মোট ১১ টি বন্দুক ও ৫৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। মাতারবাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন।
সূত্র জানায়, কেরুণতলীতে জনৈক সন্ত্রাসী হামিদ ও মাতারবাড়িতে জিয়াবুল হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক দু’টি গ্রুপ বিভিন্ন ঘের দখলের জন্য সন্ত্রাসীদের জমায়েত করে চলেছে।
মহেশখালীতে এক সংবাদ ব্রিফিং অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকে পুলিশের উপর হামলা সংক্রান্ত একটি মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। হোয়ানকের কেরুণতলী নয়া পাড়া এলাকায় পুলিশের এ অভিযানকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার গ্রুপের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ লেগে যায়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী সত্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। ওই এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ৬ টি বন্দুক ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। অপরদিকে রাতে মাতারবাড়ির একটি ঘের এলাকায় একদল লোক ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে ডাকাতের বন্দুকযুদ্ধ লেগে যায়। পুলিশের সাথে গুলি বিনিময়ে ২ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়। এখান থেকে ৮ টি বন্দুক, ৩০ রাউন্ড গুলি ও ২টি কিরিছ উদ্ধার হয় বলেও জানান এসপি। তিনি মহেশখালীর সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান দু’টি পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। কেরুনতলীতে এসআই মনিরুল ইসলাম, এসআই হারুন রশিদ, এস আই শাহেদ, এএস আই আজিম উদিন, কনেস্টবল সনজয় মজুমদার, রুবেলা দাশ, ফিরোজ, মাতারবাড়ির ঘটনায় এসআই শাওন দাশ, এএসআই সুজন মাহামুদ, এএসআই জাহাঙ্গী, কনেস্টবল নাজমুল হাসান আহত হয়।
মাতারবাড়ি থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলো মাইজ পাড়া গ্রামের মকছুদ মিয়ার পুত্র ওয়াজ উদ্দিন, আবু ছৈয়দের পুত্র নাছির উদ্দিন ও নাজু ডাকাত। দুই ঘটনায় পুলিশ ৭০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। সন্ত্রাসীদের পক্ষে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কেরুণতলীতে জনৈক সন্ত্রাসী হামিদ ও মাতারবাড়িতে জিয়াবুল হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক দু’টি গ্রুপ বিভিন্ন ঘের দখলের জন্য সন্ত্রাসীদের জমায়েত ও অস্ত্র মজুদ করে চলেছে। মইন্নার ঘোনা নামের একটি ঘের দখলের জন্য জিয়াবুল মরিয়া হয়ে ওঠেছে বলেও সূত্রে।
পুলিশের এমন অস্ত্র ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকার নিরীহ জনগণ।