Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

মহেশখালীতে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ হয়নি ২০ দিনেও

মহেশখালী প্রতিনিধি:

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ মাছ শিকারের পেশায় নিয়োজিত। ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুম ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশের মতো মহেশখালীর জেলেদের ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় জেলেদের অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।

মাছ শিকার নিষিদ্ধের ৩ সপ্তাহ পার হলেও মহেশখালীর জেলেরা সরকারের খাদ্য সহায়তার চাল এখনো পাননি। জেলে পরিবারকে বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার।

সময়মত চাল বিতরণ না হওয়ায় দায়িত্বশীলরা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। মাছ ধরতে না পারায় জেলে পরিবারে চলছে হাহাকার। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির সূত্র ধরে জানা যায় দুই হাজার ৪৮৩ জন জেলেদের জন্য বিশেষ ভিজিএফ হিসাবে ৪৯.৪৮০ মে.টন চাউল বরাদ্দ দেয়।

পৌরসভার ৪৫৪ জন জেলের জন্য ৯.০৮ মে.টন, মাতারবাড়ীর ৩১৫ জন জেলের জন্য ৬.৩২ মে.টন, ধলঘাটার ১৫৪ জন জেলের জন্য ৩.০৮ মে.টন, কালারমারছড়ার ১০৭ জন জেলের জন্য ২.১৪মে.টন, শাপলাপুরের ১০০ জন জেলের জন্য ২মে.টন, হোয়ানকের ১৯১ জন জেলের জন্য ৩.৮২ মে.টন, বড় মহেশখালীর ১৭৮ জন জেলের জন্য ৩.৫৬মে.টন, কুতুবজোমের ৭৫৯ জন জেলের জন্য ১৫.১৮ মে.টন, চাউল বরাদ্দ দেয়। উপজেলার জেলে অধ্যুষিত  কুতুবজোম, পৌরসভা, ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী এলাকা ঘুরে জেলেদের অভাব-অনটনের চিত্র লক্ষ্য করা  গেছে।

পৌরসভার জেলে আব্দুর রশিদ জানান, দেশে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নদনদী ও সাগরে ২২ দিনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ সময় জেলেদের খাদ্য সহায়তায় সরকার চাল দিয়ে থাকে। ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়নি ফলে আমার মত জেলেরা অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে।

কুতুবজোম তাজিয়াকাটা গ্রামের জেলে রবি আলম বলেন, সরকার আমাদের মাছ ধরতে দেয়না আবার সময় মত বরাদ্দকৃত চাউলও দেয়না, আমরা এখন খাব কি?  মহাজনের কাছ থেকে চড়াসুদে টাকা নিয়া সংসারের জন্যে খরচ করছি। এ ভাবে অনেক জেলে তাদের কষ্টের কথা বলেন। হোয়ানকের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল বলেন জেলেদের চাউল ১৮ অক্টোবর বিতরণ করা হয়েছে।

তবে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার জকির আলম বলেন, হোয়ানকের মৎস্য অফিস কর্তৃক জেলেদের তালিকা সঠিক নয়। চাউল বিতরণ হয়েছে এমন তথ্য চেয়ারম্যান তাদের জানায়নি।

কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান জানান, যথা সময়ে জেলেদের চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন বলেন, কুতুবজোমে জেলে বেশি বরাদ্দ কম, ফিসিং ট্রলার মালিকদের বলা হয়েছে তালিকা জমা দিতে তারা তালিকা দিলে চাউল বিতনণ করা হবে।

ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদ বিন আলী বলেন, জেলেদের  তালিকা যাচাই বাছাই চলছে  এ কাজ শেষ হলে ২/১ দিনের মধ্যে চাল দেয়া যাবে।

উপজেলা  সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, তালিকাভুক্ত ১১হাজার ৪৪২ জেলের মধ্যে ২ হাজার ৪৮২জন জেলে খাদ্য সহায়তা আসে। তাদের মাঝে চাল বিতরণের জন্য অনেক আগেই নির্দেশনা দেয়া হলেও কালারমারছাড়া ও হোয়ানক ছড়া অন্য কোথাও বিতরণ হয়নি।

মহেশখালী উপজেলার খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা তপন কুমার বড়ুয়া বলেন, কুতুবজোম, শাপলাপুর, ধলঘাটা ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত চাউল ডেলিভারি নেয়নি। তবে পৌরসভা, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী, হোয়ানক ও কালারমারছড়া কে ডেলিভারী দেওয়া হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামিরুল ইসলাম জানান, জেলেদের চাল সঠিক সময়ে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের অনুকূলে ডিও দেয়া হয়েছে। দ্রুত বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কি কারণে চাল বিতরণে দেরি হয়েছে তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন