মহেশখালীতে চিংড়ি ঘেরে হামলা: শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীর কালারমারছড়ায় ফের চিংড়ি ঘেরে হামলা ও শ্রমিককে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় দেলোয়ার নামের এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হওয়ায় কক্সবাজার মেডিকেল থেকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসীরা (মরহুম ওসমান) চেয়ারম্যানের চিংড়ি ঘোনায় হামলা চালিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে চিংড়ি ঘের এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে শ্রমিক দেলোয়ারকে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যায়। সে কালারমারছড়া মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকার মৃত আ. রহিম সেরাং এর পুত্র।
আহত দেলোয়ারের ভাই সাদ্দাম জানায়, তার ভাইকে কালারমারছড়ার জিয়া বাহিনীর সদস্য জয়নাল, রফিক, এরফান, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান, মীর কাশেম, জিহাদ, রফিক, রাসেল, শওকত, মিজান, কিলার মিজান, জাফর, শফিউল আলম, নাজু ডাকাতসহ ৩০/৪০জনের সশস্ত্র ক্যাডাররা অপহরণ পূর্বক সেলিম ও জিয়া বাহিনীর আস্তানায় নিয়ে গিয়ে দু’পায়ে উপর্যুপরি গুলি করে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নোনাছড়ি সেলিমের আস্তানা থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এ সময় নোনাছড়ির ফ্রেন্ডস লাইব্রেরির পাশ থেকে পায়ে গুলিবিদ্ধ ভিকটিম দেলোয়ারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরবর্তীতে অবস্থা গুরুতর দেখে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন, বর্তমানে দেলোয়ার মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির (ওসি) শাওন দাশ জানায়, রাত ৩টার দিকে গুলির শব্দ পেয়ে নোনাছড়ি বাজারের ফ্রেন্ডস লাইব্রেরির পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেলোয়ারকে পাওয়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করি।
এদিকে কালারমারছড়াকে আবারও অকার্যকর করতে কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের অধীনে কাজ করছে ভাড়াটিয়া শতাধিক সন্ত্রাসীরা।