মহেশখালীতে এক রাতে জোড়া খুন

দুই গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে ডাকাত নিহত, অস্ত্র উদ্ধার: বিরোধের জের বালু ব্যবসায়ি খুন

ককক

মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালীতে এক রাতে জোড়া খুন হয়েছে। কালারমারছড়ায় ২ ডাকাত দলের বন্দুক যুদ্ধে ফরিদ ডাকাত(৩২) নিহত হয়। অপর দিকে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে লোকমান হোসেন (৩৫) কে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। উক্ত ঘটনাগিুলি ঘটেছে গতকাল রাতে কালারমারছড়া এলাকায়।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুই ডাকাত দলের মধ্যে বন্ধুকযুদ্ধে এক ডাকাত সর্দার নিহত ও অস্ত্র গুলি উদ্ধার হয়েছে।

নিহত সর্দার ফরিদুল আলম (৪০) মহেশখালীর কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার মৃত বদিউল আলমের পুত্র।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল বণিক জানান, আজ সোমবার ভোর রাত ৫ টার দিকে মহেশখালীর কালার মার ছড়ার মাইজ পাড়ার পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় বিবাদমান দুই ডাকাত দল ফরিদুল আলম ও সেফু গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ১ টি এক নলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড কাতুর্জ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, নিহত ডাকাত সর্দারের বিরুদ্ধে ডাকাতি,ছিনতাই,অস্ত্র সহ ২৪টি মামলা রয়েছে। অপরদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে লোকমান হোসেন(৩৫)কে ৫/৬ জনের একটি দল চুরি ও ছাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে ।

স্থানীয়রা জানান, বদরখালী থেকে মোটর সাইকেল যোগে কালারমারছড়া আসার পথে চালিয়াতলীর গলাকাটা স্থানে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা অস্ত্রধারীরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি চুরি ও ছাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃুত্য হয়। নিহত লোকমান শাপলাপুরের জেমঘাট এলাকার নুরুল আলমের পুত্র। পুলিশ এঘটনায় পটুয়াখালীর সেলিম নামে এক বালু ব্যবসায়িকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে।বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এদিকে মহেশখালীতে গত ১৫ দিনে ৪টি খুন হওয়ার সাধারন মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। মুলত জমি সংক্রান্ত বিরোধ আধিপাত্য বিস্তার ও সন্ত্রাসী গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ রাখতে মহেশখালীতে একের পর এক খুন হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি চলতে থাকলে সাধারন মানুষের জানমাল রক্ষাতে প্রশাসন ব্যার্থ হয়ে পড়বে।

স্থানীয়দের দাবী তালিকা ভুক্ত ডাকাত, সন্ত্রাসীও জলদস্যু সহ সব আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান জোরদার করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন